সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে এই স্কুলের। ব্রিটিশ বিরোধিতায় রবিবার ছুটি দেওয়া হতো না সেখানে। সেই রীতি আজও চলছে। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুর ব্লকের সেই গোপালপুর মুক্তকেশী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষে সেই স্কুলকে ‘জাতীয় স্কুল’ ঘোষণার দাবি জানানো হল প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তর, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, রাজ্যপালের কাছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্কুলটির প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সময়। স্কুলের জন্য অবিনাশচন্দ্র হালদার ও তাঁর ভাই ভূষণচন্দ্র হালদার জমি দান করেছিলেন। তাঁদের ইচ্ছায় ব্রিটিশদের বিরোধিতায় এই স্কুলে রবিবার ছুটি নেই। পরিবর্তে সোমবার স্কুল ছুটি থাকে।
জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ বিরোধিতায় স্কুলে ইংরেজি পড়ানোয় বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ১৯২৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই স্কুল অনুমোদন পাওয়ার পর ইংরেজি পঠনপাঠন চালু করা হয়। ১৯৪৬ সালে এই স্কুলের তখনকার পড়ুয়ারা রশিদ আলি দিবসেও অংশগ্রহণ করেছিল।
এই স্কুলকে ‘জাতীয় স্কুল’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য এলাকার বাসিন্দারা, প্রাক্তন পড়ুয়া, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলেছেন। স্কুলের শিক্ষক সমীরকুমার ঘোষাল জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে এই বিদ্যালয়। স্কুলের ১০১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের পরপর স্কুলের পরিচালন সমিতি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই স্কুলকে জাতীয় স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় আবেদন জানানো হবে। এরপরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জাতীয় স্কুলের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন। এখন অপেক্ষা সেই স্বীকৃতি মেলে কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.