শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বাড়িঘর। বিপর্যয়ের ঠিক ছ’দিন পর ভাঙন কবলিত সামসেরগঞ্জের ধানঘরা-হীরানন্দপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরির ছেলে তথা সুজাপুরের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরি, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হাবিবুর রহমান-সহ অন্যান্যরা। তবে কেন এতদিন পর এলাকায় আসলেন তাঁরা, এই প্রশ্ন তুলে বিধায়ক-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা।
দিনকয়েক ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে রাজ্যে। তার ফলে জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। কারও ডুবে গিয়েছে বাড়ি। আবার কারও মাঠের ফসল চলে গিয়েছে জলের তলায়। তার ফলে মাথায় হাত স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, ফি বছর এমন বাজে পরিস্থিতি তৈরি হলেও প্রশাসনের তরফে বর্ষার আগে সেভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এমনকী ঝড়বৃষ্টির পরেও বিধায়কের দেখা মেলে না। স্থানীয়দের দাবি, জলমগ্ন অবস্থায় ছ’দিন কেটে গেলেও বিধায়কের দেখা মেলেনি।
তবে সোমবার বিপর্যয়ের ঠিক ছ’দিন পর ভাঙন কবলিত সামসেরগঞ্জের ধানঘরা-হীরানন্দপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরির ছেলে তথা সুজাপুরের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরি, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হাবিবুর রহমান-সহ অন্যান্যরা। ওই এলাকাতেই গিয়ে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়লেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সামিউল হক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা এবং পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন বিধায়ক। এরপর বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন তিনি। তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়ে সাংসদ আবু হাসেম চৌধুরি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আপাতত এই আশ্বাস শুনে সাময়িক শান্ত হয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও আবারও বিক্ষোভের পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.