Advertisement
Advertisement
করোনা

এবার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপের করোনা রোগীদের জন্য চালু হল ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স’

করোনা আবহে নৌকোয় রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছতে নাজেহাল হতে হচ্ছিল পরিবারকে।

Local govt launches water ambulance for remote villages of sunderban

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 18, 2020 5:33 pm
  • Updated:August 18, 2020 6:06 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর:  সারাবছরই সুন্দরবনের দ্বীপের বাসিন্দাদের যাতায়াতের মূল ভরসা নৌকো। ভাগ্যক্রমে কখনও মেলে মোটর ভ্যান। এই দুয়ে চেপেই এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে পৌঁছন স্থানীয়রা। কিন্তু রোগীদের তো এভাবে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। করোনা (Corona Virus) আক্রান্তকে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই কারণেই গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন নদী দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। এতে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, এই ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সে’র ভিতর বানানো হয়েছে কেবিন। যা দেখতে হাসপাতালের কেবিনের মতোই। সেখানে রাখা হয়েছে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ করোনার রোগীদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী। যাতে কোনওভাবেই ওই অ্যাম্বু্ল্যান্সের চালকরা সংক্রমিত না হন, সেই কারণে তাঁদের দেওয়া হয়েছে পিপিই (PPE)। আপতত গোসাবা ব্লক হাসপাতালের নদীর ঘাটে রাখা হয়েছে এই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। প্রয়োজন পড়লেই সেটি পৌঁছে যাবে করোনা (Corona Virus) রোগীর নির্দিষ্ট দ্বীপ এলাকাতে। এ বিষয়ে গোসাবার ব্লক আধিকারিক সৌরভ মিত্র বলেন, “আপাতত একটি জলযানকে রোগী পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে একটি ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স’ তৈরি করা হবে। যেটি প্রসূতি মায়েদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: গৃহপ্রবেশের পরেরদিনই মালিকের রহস্যমৃত্যু, কাঁচড়াপাড়ায় ফ্ল্যাটের নিচে মিলল মৃতদেহ]

এবিষয়ে গোসাবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, “যে সমস্ত মানুষ করোনাকে জয় করে ঘরে ফিরেছেন তাঁরাই মূলত এই ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিচালনা করবেন। ইতিমধ্যেই সেরকম দু’জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে গোসাবা হাসপাতালের তরফে।” জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যের মতোই গোসাবাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। যার মধ্যে ২৬ জন সুস্থও হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সরব পড়ুয়ারা, রাতভর ঘেরাও জলপাইগুড়ির ফার্মেসি কলেজের অধ্যক্ষ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement