সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাঁকে ঝাঁকে গলদা চিংড়ি গঙ্গার জলে (Lobster in Ganges )। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন হুগলির বেশ কয়েকটি ঘাটের পারে থাকা মানুষজন। অনেকে আবার ধরেও নিয়ে গেলেন বাড়ি। পেটপুজোর এমন সুযোগ মাছপ্রেমী বাঙালির পক্ষে যে ছাড়া বেশ কঠিন।
কোনও কল্পকাহিনি নয়, এ ঘটনা এক্কেবারে সত্যি। শনিবার সন্ধ্যেয় যাঁরা হুগলির শেওড়াফুলি ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় ছিলেন তাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন এমন দৃশ্য। আদিঘাট, কালিবাড়ির ঘাট-সহ আর বেশ কয়েকটি ঘটে প্রচুর পরিমাণে গলদা চিংড়ি দেখা গিয়েছে। কেই দূর থেকে দেখেই খুশি হয়েছেন, কেউ আবার জলে নেমে পড়েছেন চিংড়ি ধরার তাগিদে।
বাঙালির যেমন ইলিশ প্রিয়, তেমনই প্রিয় চিংড়ি। এমনিতে চিংড়িকে জলের পোকা বলা হলেও বাঙালির কাছে তা মাছের সমান প্রিয়। ঝরঝরে ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে একটু সর্ষে চিংড়ি কিংবা চিংড়ির মালাইকারি হলে তো আর কথাই নেই। এমন পদের জন্য গলদা চিংড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তা গঙ্গায় এত সহজে পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারেননি প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শেওড়াফুলি এবং তাঁর আশেপাশের ঘাটে নানা ধরনের মাছ দেখা যায়। মাঝেমধ্যে কচ্ছপও দেখা যায়। কিন্তু এভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে গলদা চিংড়ি কেউ আগে দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। শোনা গিয়েছে, কেউ দু’কিলো, কেউ আবার চার কিলো গলদা চিংড়ি বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এত গলদা চিংড়ি আচমকা গঙ্গার জলে এল কেমন করে? সেই প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর জানা নেই। তবে মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকা দিয়ে কোনও মাছ বোঝাই লঞ্চ যাওয়ার সময় হয়তো গলদা চিংড়িগুলি কোনওভাবে জলে পড়ে যায়। তাই-ই ঘাটের কাছে চলে আসে। জোয়ারের জল আসার পর্যন্ত চিংড়ি ঘাটের কাছাকাছি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.