সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাতের অন্ধকারে খাঁচাবন্দি একাধিক কুকুর নিয়ে ছুটছে এক গাড়ি। ভাগাড় কাণ্ডের আতঙ্ক ফিরল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। শেষপর্যন্ত ধাওয়া করে গাড়িটিকে ধরে ফেলেন পথচলতি মানুষই। তবে গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা পালিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে কুকুরগুলিতে অসৎ উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। খাঁচার গায়ে শক্তিগড় জুট পার্কের স্টিকার লাগানো ছিল। অভিযোগ দায়ের না হলেও, ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়ে পালাল জামাই!]
মাস খানেক আগে ভাগাড় কাণ্ডে তোলাপাড় হয়েছিল রাজ্য। পচা মাংস খেয়ে খাস কলকাতায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। সত্যি কি না জানা নেই, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আবার কুকুরের মাংস রেস্তরাঁয় সরবরাহের খবরও ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমানে মেমারির কলানবগ্রাম এলাকায় খাঁচাবন্দি একাধিক কুকুর নিয়ে একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, চালক গাড়িটিকে থামাননি। এরপর ধাওয়া করে গাড়িটিকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সারমে্য়গুলিকে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন তাঁরা। চালক জানান, তাঁর কাছে চাবি নেই। শেষপর্যন্ত, ফোন করার অছিলায় ওই গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান চালক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অসৎ উদ্দেশ্যেই কুকুরগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল। খাঁচার গায়ে শক্তিগড় জুট পার্কে স্টিকার লাগানো ছিল।
[নাবালিকার বিয়ে আটকাল যুব তৃণমূল ও টিএমসিপির সদস্যরা]
যদিও শক্তিগড় জুট পার্কের এক আধিকারিকদের দাবি, ওই কুকুরগুলি কারখানার ভিতরে উৎপাত করত। বেশ কয়েকজন শ্রমিক কুকুরের কামড়ও খেয়েছেন। তাই সারমেয়গুলিকে খাঁচাবন্দি করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও মেমারির তলানবগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কুকুরগুলিকে যদি শক্তিগড় থেকে আনা হচ্ছিল, তাহলে গাড়ি অভিমুখও সেদিকেই ছিল কেন? গাড়ির চালক পালালেনই বা কেন? এই ঘটনায় অবশ্য থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি: মুকলেশুর রহমান
[একই গাছে ১২ প্রজাতির আম ফলিয়ে তাক লাগালেন এই প্রাক্তন শিক্ষক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.