স্টাফ রিপোর্টার: কার কত আসন? এখন জল্পনা তা নিয়েই৷ জল্পনা জেলাভিত্তিক জয়-পরাজয় নিয়েও৷
বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ পেয়েছে৷ বহু চ্যানেল ও সংস্থা তাদের নিজেদের মতো করে সমীক্ষায় তৃণমূল, জোট বা বিজেপিকে নির্দিষ্ট আসন দিয়েছে৷
প্রতীক্ষার সময় মাঝের খালি একটি দিন৷ বুধবার পেরোলেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলে আসবে আসল ফলের ইঙ্গিত৷ বেলা দশটা নাগাদ বাংলার মসনদ কার দখলে থাকবে, পরিষ্কার হবে অনেকটা৷ গতকালের সমীক্ষায় সব সংস্থাই তৃণমূল ক্ষমতায় আসার কথা জানিয়েছে৷ সংখ্যার বিচারে তৃণমূলকে সর্বাধিক আসন দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস৷ তাদের মতে তৃণমূল পেতে পারে ২৩৩ থেকে ২৫৩ আসন৷ সেই সমীক্ষায় জোট ৩৮ থেকে ৫১ আসন৷ নিউজ নেশন আবার তৃণমূলকে দিয়েছে সবথেকে কম আসন৷ সেই সংখ্যা ১৫১-১৫৫৷ তবে সেক্ষেত্রেও সরকার গড়ছে তৃণমূল৷ স্বাভাবিকভাবে বুথফেরত সমীক্ষার ফলে উৎসাহিত তৃণমূল শিবির৷ কিন্তু তৃণমূল শিবিরের নেতারা এ ব্যাপারে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন৷ তৃণমূলের আশা, এই সংখ্যা ২০০ ছাড়াবে৷ কারণ, মানুষ কুৎস-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ও উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন৷ অন্তত এবার ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলতে পারবে না বিরোধীপক্ষ৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, গ্রামে উন্নয়নের সুফলে ব্যাপক ভোট পাবে তৃণমূল৷ আসলে, গ্রামের মানুষের কাছে খাদ্যসাথী, সুবজসাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও বিদ্যুতের পরিষেবা বেশি চাহিদার৷ সেখানে বিরোধীদের মমতার বিরুদ্ধে একজোটে প্রচার বা জোট কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে নি৷ জল্পনা চলছে, তৃণমূলের বিধায়করা এখনই কাজের খতিয়ান তৈরি করে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন৷ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরামর্শ নিয়ে ও নির্দেশ মেনেই নিশ্চিত জয়ীরা কাজ শুরু করে দিতে চান৷ উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির আরও উন্নয়নের দিকে এগোতে চাইছে৷ কারণ, তাঁরা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয় হতে চলেছে৷
সকাল থেকেই চায়ের দোকানে, বাজারে, ট্রেনে-বাসে ফলের ইঙ্গিত নিয়েই জোর আলোচনা৷ জোটপন্থীরা অবশ্য এখনও নিজেদের মতে বিশ্বাসী৷ অন্যদিকে, আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ জ্বলে উঠতে পারে, এই আশাতেই কংগ্রেস৷ এসি নিয়েলসন তৃণমূলকে ১৬৩ আসন দিলেও ২৫টি আসনে কম ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে৷ জোটকে দিয়েছে ১২৬টি আসন৷ তবে টুডেজ চাণক্য যেভাবে তৃণমূলকে ২১০, জোটকে ৭০ আসন দিয়েছে, তা মানতে নারাজ তাঁরা৷ তবে সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বাম-কংগ্রেসের জোটকে মানুষ মানেনি৷ তাই বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে হতাশ কংগ্রেস কর্মীরা৷ যদিও নেতারা এখন কর্মীদের আগলে রাখার চেষ্টা করছেন৷ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বুথ ফেরত সমীক্ষা সবসময় ঠিক হয়, এমন উদাহারণ নেই৷ বিহার-সহ একাধিক ভোটে বুথ ফেরত সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ হার হলে তা মাথা পেতে মেনে নেব৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.