সুব্রত বিশ্বাস: আরপিএফ ক্যাম্পের ব্যারাকের চারতলা থেকে পড়ে মারা গেলেন এক কমান্ডো। রামাশঙ্কর সিং নামের বছর পঁয়ত্রিশের ওই আরপিএফ জওয়ান এগারো বছর ধরে আরপিএফে কর্মরত ছিলেন। সেনাবাহিনী, সিআইএসএফ-সহ বিভিন্ন এজেন্সির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো এভাবে ছাদ থেকে পড়ে মারা যাওয়ায় নানা ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে আরপিএফ মহলেই। মৃত জওয়ান রামাশঙ্কর ধানবাদ কতরাসের বাসিন্দা হলেও স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ব্যারাকের কাছাকাছি একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। মঙ্গলবার বিকেল ছ’টা নাগাদ লিলুয়া ক্যাম্পেই ডিউটি করে বাড়ি চলে যান। পরে জামাকাপড় বদলে রাতে আবার ক্যাম্পের ব্যারাকে আসেন। এরপর ব্যারাকের ছাদে চলে যান।
রাত ১১.৫০ মিনিট নাগাদ ছাদ থেকে পড়ার শব্দ শুনে সহকর্মীরা বাইরে এসে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রামাশঙ্কর। লিলুয়া রেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা আগেই মৃত্যু হয়ে গিয়েছে বলে জানান এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃতের কাছে হেডফোন ও মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। আরপিএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
বুধবারই বাড়ির লোকজন ধানবাদ থেকে চলে আসায় দেহটি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বালি শ্মশানে দেহ সৎকারের আগে মৃত জওয়ানকে বিভাগীয়ভাবে সম্মান জানানো হয়। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাদে কোনওরকম গার্ড না থাকায় সাধারণত কেউ ওঠে না, তবে গভীর রাতে কেন তিনি ওই ছাদে গিয়েছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিভাগীয়ভাবে দুর্ঘটনায় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আরপিএফ বিভাগে কমান্ডো ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর কমান্ডো বাহিনী তৈরি হয়। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব ও আইনি জটিলতায় তা সাময়িকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর আবার তা তৈরি হয়। সেনাবাহিনী ও সিআইএসএফ-সহ একাধিক এজেন্সির প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়। রেলমন্ত্রী কলকাতায় এলেই নিরাপত্তার জন্য লাগানো ছাড়া অন্যান্য কাজও তাঁদের করতে হয়। এহেন প্রশিক্ষিত এক জওয়ান কীভাবে ছাদ থেকে পড়লেন তা নিয়ে যথেষ্ট দেখা দিয়েছে রেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.