অর্ক দে, বর্ধমান: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি, প্রাথমিক টেটের পর সেই তালিকায় নাম জুড়ল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। অধ্যাপক নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলেই দাবি উপাচার্যের।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। উদ্ভিদবিদ্যা (বোটানি) পদে চাকরিপ্রার্থী, বর্ধমানের রাজ কলেজের শিক্ষক সোমনাথ দাস সম্প্রতি রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন, ২০২২ সালের তফশিলিদের জন্যে সংরক্ষিত একটি পদে নিয়োগ করা হবে। গত ৪ জানুয়ারি সল্টলেকের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে ইন্টারভিউ হয়। তাঁর অভিযোগ, ওই পদে যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি উপাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। নিয়োগ হওয়া প্রার্থীর পিএইচডি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুবিচার না পেলে আদালতে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও অপর দুজন বিকাশ সাঁই ও আসরাফুল মিদ্যা পৃথকভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মী থেকে শিক্ষক নিয়োগ – সব কিছুতেই ‘স্বজনপোষণ’ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মাথায় রয়েছেন স্বয়ং উপাচার্য। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শাসক দলের জনপ্রতিনিধি, কর্মচারী ইউনিয়নের কয়েকজন নেতার ‘যোগসাজশে’ দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ চলছে। যদিও শাসকদল ও তাদের প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “এ ধরণের অভিযোগ ঠিক নয়। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা থেকে এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়নি। তাহলে তো গোটা বিশ্বে আমার পদবির হলেই সে আমার আত্মীয় হবে না। এ সব একটা চক্রান্ত।” তবে উপাচার্য যাই বলুন না কেন, আপাতত নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.