শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: শুরু হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। নিয়ম মেনে এখনও পুজোয় তিনদিন পাঁঠা ও একটি চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়িতে। তবে তাঁর নেপথ্যে রয়েছে কাহিনী। এই পুজোর (Durga Puja 2022) ভোগেও থাকে পাঁঠার মাংস। এবছরও তার অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যেই নায়েব বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি।
১৮৮২ সালে জঙ্গিপুরে নায়েব বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন অমরনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নায়েব। নায়েব বাড়ির পুজোর প্রচলন শুরু হয় ১৮৮৯ সালে। ষষ্ঠীর দিন ঘট ভরে সাজানো হত দালানবাড়ির সামনে। ষষ্ঠীতে বাড়ির বেলতলায় হত প্রথম পুজো। সদস্যদের বিশ্বাস, বেলগাছ থেকে ব্রহ্মদৈত্য নামত বাড়িতে। তবে নায়েব বাড়ির পুজোয় প্রথমে বলিপ্রথা ছিল না। একবছর পুজোর দিন কয়েক আগে নায়েব বাড়ির ছাদে রাখা হরিণ লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতেই ধারণা হয়, বলি চাইছেন দেবী। সেই থেকেই শুরু বলিপ্রথা। সময় পেরিয়েছে। তবে নায়েব বাড়ির রীতিতে ছেদ পড়েনি আজও।
জানা গিয়েছে, আজও সপ্তমীর দিন একটা, অষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময় দুটো ও নবমীতে দুটো পাঁঠা বলির পাশাপাশি একটি চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয় নায়েব বাড়িতে। এছাড়া অষ্টমী পুজোর সময় ১০৮ টি বেলপাতা, ১০৮ টি প্রদীপ ও ১০৮ টি বাতাসা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ভোগে দেওয়া হয় লুচি, পায়েস, পোলাও ও পাঁঠার মাংস।
শুধু তাই নয়, অষ্টমীতে কুমারী পুজোর চল রয়েছে নায়েব বাড়িতে। বর্তমান সদস্য বিকাশ মুখোপাধ্যায় জানান, প্রাচীন রীতি মেনে এখনও দশমীর দিন ঘট বির্সজনের পর বাড়ির বাইরে গামলা ভরে জল রাখা হয়। গামলার জলে দেবীর মুখ দেখতে পান তাঁরা। দশমীতে বাঁশের মাচা ঘাড়ে নিরঞ্জন করা হয় প্রতিমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.