সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও সঞ্জীব মণ্ডল: আতঙ্কের অবসান। কুকুরের টোপ দিয়ে বাজিমাত। শিলিগুড়ি চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করলেন বনদপ্তরের কর্মীরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে চিতাবাঘটি ধরা পড়ে শিলিগুড়ি আড়াই মাইল এলাকায়। বৈকুণ্ঠপুর রেঞ্জের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার উমা রানি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার চিতাবাঘকে জঙ্গল ছেড়ে দেওয়া হবে।
[বাজারে চিতাবাঘের হানা, তীব্র আতঙ্ক শিলিগুড়িতে]
এক সপ্তাহ ধরে চিতাবাঘটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল শিলিগুড়িতে। আতঙ্কে ছিলেন শহরবাসী। গত বুধবার শহরের ব্যস্ত সড়ক সেবক রোড লাগোয়া একটি বাজারে প্রথম দেখা মেলে চিতাবাঘের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, বাজারের বেশ কয়েকটি গুদাম ঘরের ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বন্যপ্রাণীটি। খবর পেয়ে তৎপর হন বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশও। রাতে সার্চলাইট জ্বালিয়ে চলে তল্লাশি অভিযান। কিন্ত, রাতভর তল্লাশিতে চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এলাকার জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। চিতাবাঘ ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতেন বনকর্মীরা। কিন্তু, চিতা বাঘের সন্ধান না পেয়ে শনিবার খাঁচা তুলেও নেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাতে সেবক রোডের আড়াই মাইল এলাকায় ফের চিতাবাঘটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, কয়েকটি রাস্তার কুকুরকে আক্রমণ করেছে চিতাবাঘটি। এরপরই ফের খাঁচা পাতে বনদপ্তর। এবার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় কুকুরকে। আর তাতেই শেষপর্যন্ত ধরা পড়ল বন্যপ্রাণীটি। মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ শিলিগুড়ির আড়াই মাইলে পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে চিতাবাঘ। রাতেই প্রাণীটিকে সুকনা বন বিভাগের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বৈকুণ্ঠপুর রেঞ্চের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার উমা রানি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।
[শিলিগুড়িতে ফের দেখা মিলল চিতার, খাঁচাবন্দি করতে তৈরি বনদপ্তর]
পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গ। বনে জন্তু ও লোকালয়ে মানুষের বাস। কিন্তু, ইদানিং মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বন্যজন্তুরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, জঙ্গলে থাবা বসিয়েছে শহর। তাই খাবারের অভাবে বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে জন্তুরা। কয়েকদিন আগে আলিপুরদুয়ারের রায়ডাক চা বাগানে চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েছিল দু’জন শ্রমিক।
দেখুন ভিডিও:
[OMG! পুলিশকে দেখেই উঠে বসলেন ‘মৃত’ বৃদ্ধ, চাইলেন খাবারও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.