রাজকুমার কর্মকার ও অরূপ বসাক: হাতি ও চিতাবাঘের হামলায় আতঙ্ক ছড়াল ডুয়ার্সে। বুধবার ভোরে আলিপুরদুয়ারের রায়ডাক চা-বাগানে চিতা বাঘের হামলার মুখে পড়েন ২ জন শ্রমিক। গুরুতর জখম হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি তাঁরা। চিতাবাঘটিকে ধরতে চা-বাগানে খাঁচা পেতেছেন বনকর্মীরা। এদিকে, মঙ্গলবার রাতে আবার মালবাজারে মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা-বাগান শিশু শিক্ষা ও অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে ঢুকে পড়ে এক দাঁতাল হাতি। কেউ হতাহত হননি। তবে হাতির হানায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নাঘরের দেওয়া ভেঙেছে। নষ্ট হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
[ইসলামপুরে নিষিদ্ধপল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ২০টি বাড়ি]
ডুয়ার্সের প্রায় সবকটি চা-বাগানই জঙ্গল লাগোয়া। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক চা-বাগানের পাশেই বক্সার জঙ্গল। বনকর্মীদের অনুমান, বক্সার জঙ্গল থেকে চিতাবাঘটি ঢুকে পড়েছে চা-বাগানে। রাতভর চা-বাগানে ঘাপটি মেরে বসেছিল জন্তুটি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন রায়ডাক চা বাগানে কীটনাশক দেওয়ার কাজ করছিলেন দু’জন শ্রমিক, তখন তাঁদের উপর হামলা চালায় চিতাবাঘটি। চিতাবাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হন কৃষ্ণ লোহার, শিবনুস হিন্দোয়ার নামে ওই দুই চা শ্রমিক। দু’জনকেই ভরতি করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। থবর পেয়ে সকালেই রায়ডাক চা-বাগানে যান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বন দপ্তরের কর্মীরা। চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতা হয়েছে। ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়ডাক চা বাগানে। আহতদের চিকিৎসার খরচ বন দপ্তরই বহন করবে বলে জানা গিয়েছে।
[আত্রেয়ী নদীতে ভেসে উঠল পুলিশকর্মীর মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
চা বাগানে যখন চিতাবাঘের আতঙ্ক, তখন শিশুশিক্ষা ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঢুকে পড়ল দাঁতাল হাতি। খাবারের সন্ধানে হাতি ঢুকেছিল মালবাজারে মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ। হাতির হামলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নাঘরের দেওয়াল ভেঙেছে, নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে হাতির তাণ্ডব। রাত ১১টা নাগাদ নদী পেরিয়ে ফের জঙ্গলে চলে যায় হাতিটি। ঘটনার আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। রান্নাঘর ভেঙে যাওয়ায় বাতাবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে।
[ডাইনি সন্দেহে একই পরিবারের দু’জনকে খুন, তদন্তে বাধা পুলিশকে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.