সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: রাতভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে চিন্তা কাটল। ঝাড়গ্রাম (Jhargram)মিনি জু’র ভিতরেই দেখা মিলল পলাতক চিতাবাঘের। শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানা চত্বরেই তার দেখা পাওয়া গেলেও অবশ্য এখনও ধরা পড়েনি সে। লেপার্ডটিকে (Leopard) ধরতে খাঁচা পাতা হয়েছে, পটকা ফাটিয়ে ভয় দেখিয়ে খাঁচার ভিতরে আনার চেষ্টা চলছে। ঘুমপাড়ানি গুলিও প্রস্তুত রয়েছে, প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হবে বলে খবর বনদপ্তর সূত্রে। চিতাবাঘের পালানোর ঘটনায় এতটাই আতঙ্ক ছড়ায় যে কলকাতা থেকে একটি টিম গিয়েছে ঝাড়গ্রামে। জঙ্গলে তার পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে সন্ধান শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে চিতাবাঘটি মিনি জু থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে শুনশান হয়ে যায় ঝাড়গ্রাম শহর। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। জনগণকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু করেন পুলিশ, বনদপ্তরের কর্মীরা। লেপার্ডটি চিড়িয়াখানা চত্বর থেকে বেরিয়ে লোকালয় উপস্থিত হল কি না, তা নিয়েও প্রবল সংশয়ে পড়ে যান বনকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বনদপ্তরের আধিকারিকরা তৎপরতার সঙ্গে চিতাবাঘটিকে খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হন।
তবে শুক্রবার সকালে, প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর অবশ্য জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ পাওয়া যায় চিতাবাঘটির। বনকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, খাঁচা থেকে পালালেও রাতের অন্ধকারে বেশি দূর যেতে পারেনি সে। জঙ্গলের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘুমন্ত চিতাবাঘের শরীরের কিছুটা অংশ দেখা যায়। তারপর অনুসন্ধানকারীর দল নিশ্চিত হয় যে, চিড়িয়াখানা চত্বরের মধ্যেই সে রয়েছে। এনিয়ে বনদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানার ভিতরে চিতাবাঘটিকে দেখা গিয়েছে, খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে।
তবে বেশ কিছুক্ষণ পর ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে খাঁচাবন্দি করা হয় চিতাবাঘটিকে। তার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। পলাতক লেপার্ড যে জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয় চলে যায়নি, তাতে অনেকটাই আশ্বস্ত বনকর্মী এবং সাধারণ বাসিন্দারা। তবে এই ঘটনার জেরে আপাতত কিছুদিনের জন্য ঝাড়গ্রাম মিনি জু দর্শকদের জন্য বন্ধ রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বনদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.