অরূপ বসাক, মালবাজার: চা-বাগান কিংবা লোকালয় নয়, এবার চিতাবাঘ ঢুকে পড়ল রান্নাঘরে। আতঙ্ক ছড়াল মালবাজারের মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি বনবসতিতে। বাঘটিকে বাগে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেলেন বনকর্মীরা।
[দুর্ঘটনায় আহত, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিল ছাত্র]
মালবাজারের মেটেলি ব্লকে গরুমারা অভয়ারণ্যের একেবারেই লাগোয়া বড়দিঘি বনবসতি। বৃহস্পতিবার সকালে বনবসতিতে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন বনবসতির বাসিন্দারা। আর তাতেই ভয় পেয়ে যায় চিতাবাঘটিও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাড়া খেয়ে বনবসতির বাসিন্দা জাটু খেরিয়ার রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে বাঘটি। এদিকে ততক্ষণে খবর পেয়ে বনবসতিতে পৌঁছে গিয়েছে বড়দিঘি বিটের বনকর্মীরা। প্রথমে পটকা ফাটিয়ে বাঘটিকে রান্নাঘর থেকে বের করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, লাভ হয়নি। এমনকী, চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন স্থানীয় খুনিয়া বিটে বনকর্মীরাও। খবর পাঠানো হয় জলপাইগুড়িতে বনবিভাগের অফিসে। সেখানকার কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাঘটিকে কাবু করে ফেলেন। বাঘটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাটাগুড়ির প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রে।
ডুয়ার্সের খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার রাজকুমার নাইক বলেন, ওই পুরুষ চিতাবাঘটির আনুমানিক বয়স ২ বছর। বাঘটি অসুস্থ। চিকিৎসার পর বন্যজন্তুটিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। ইদানিং ডুয়ার্সে চা-বাগানগুলিতে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছে। চিতাবাঘের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। আতঙ্কে চা-বাগানের শ্রমিকরা। পরিবেশবিদদের মতে, দ্রুত নগরায়ণের কারণে ডুয়ার্সে বনভূমি কমছে। খাবার না পেয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বন্যজন্তুরা।
[ ৮ দিন পর নিরুদ্দেশ মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.