অরূপ বসাক, মালবাজার: তিনদিন ধরে খাঁচা পাতা ছিল। মঙ্গলবার ভোরে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। স্বস্তি ফিরল মালবাজারের মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি চা-বাগানে। খবর চাউর হতেই খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। বনদপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, অত্যাধিক লাফালাফির কারণে চিতাবাঘটির মুখ রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসার পর প্রাণীটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে গরুমারা জঙ্গলে।
[ রয়্যাল পরিবারের সদস্য বৃদ্ধির ‘অ্যাসাইনমেন্ট’-এ আলিপুরে যাচ্ছে শিলিগুড়ির স্নেহাশিস]
ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি বনাঞ্চলের একেবারে লাগোয়া মেটলি ব্লকের বড়দিঘি চা-বাগান। দিন কয়েক আগে বাগানে কাজ করার সময়ে চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েন সহকারী ম্যানেজার-সহ দু’জন কর্মী। প্রত্যেকেই গুরুতর জখম হন। বনদপ্তরের দ্বারস্থ হয় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। চিতাবাঘটি ধরার আবেদন জানানো হয়। শনিবার বড়দিঘি চা-বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে খাঁচা পাতেন বনদপ্তরের কর্মীরা। শনিবার সকালে চা-বাগানের কর্মীরা দেখেন, খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। খবর পাঠানো হয় বনদপ্তরের স্থানীয় বিট অফিসে। চা-বাগানে যান বনদপ্তরের কর্মীরা। এদিকে ততক্ষণে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত চিতাবাঘটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি বিক্ষণ নিয়ে যান বনকর্মীরা।
চিতাবাঘের উপদ্রবে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল মালবাজারের মহকুমার ক্রান্তি মালহাটি চা-বাগানের শ্রমিকদের। রোজ রাতে কারও না কারও বাড়ির গবাদি পশু চলে যেত চিতাবাঘের পেটে। দিন কয়েক আগে নিজেরাই ফাঁদ পেতে চিতাবাঘটি ধরে ফেলেন ক্রান্তি মালহাটি চা-বাগানের শ্রমিকরা।
দেখুন ভিডিও:
[ কুকুর-বিড়ালের মাংস ভাগাড় থেকে হোটেলে পাচার! মধ্যমগ্রামে চাঞ্চল্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.