Advertisement
Advertisement

বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, গ্রেপ্তার কয়েক হাজার কর্মী

দাপুটে মেজাজে দেখা গেল বাম কর্মীদের।

Left parties protested all over West Bengal
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 9, 2018 7:00 pm
  • Updated:August 9, 2018 7:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের কয়েক দফা দাবিতে বামপন্থী সংগঠনগুলির ডাকা জেল ভরো কর্মসূচি ভালই সাড়া পড়ল রাজ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আইন অমান্য কর্মসূচিকে ঘিরে কম-বেশি অশান্তি হয়েছে রাজ্যের সবপ্রান্তেই। কদিন আগে সিটুর ডাকা পরিবণ ধর্মঘটে ভাল সাড়া মিলেছিল জেলাগুলিতে।  সে তুলনায় ধর্মঘটে স্বাভাবিকই শহর কলকাতা। কিন্তু বৃহস্পতিবার  জেল ভরো কর্মসূচিতে এ শহরেও  পথে নামতে দেখা গেল বাম কর্মী সমর্থকদের। কোথাও ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, কোথাও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ আবার কোথাও তৃণমূল কর্মীদের ‘হামলার প্রতিবাদ’। বহুদিন পর ফের চেনা জঙ্গি মেজাজে বামকর্মীরা।

[ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি মহিলা কলেজ]

পথে দাপুটে বাম কর্মীরা

সম কাজে সম বেতন, মাসে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা পেনশন, কৃষকদের সামাজিক সুরক্ষা -সহ একাধিক দাবিতে  দেশজুড়ে জেল ভরো কর্মসূচির ডাক দেয় বামপন্থী সংগঠনগুলি। গোটা দেশের তুলনায় এরাজ্যে বামেদের সংগঠন বেশি হওয়ায় অশান্তির আশঙ্কা ছিলই। বাস্তবে হলও তাই। জেলায় জেলায় মিছিল বেরনোর পরই অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি-সহ সর্বত্রই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির খবর আসে গোটা রাজ্য থেকেই।

Advertisement

[দিলীপের পর নিজের জেলায় আক্রান্ত সুজন, ইট-বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ]

রাণি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে  ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় আন্দোলনকারীদের। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কয়েকজন আন্দোলনকারী আবার রাজভবনের গেটে লালঝান্ডা লাগিয়ে দেন । তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সিটু নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যে অন্তত ১০ হাজার বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন ।

রাজভবনে পতাকা লাগানোর চেষ্টা

দলীয় কর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে মিছিল থেকে কড়া ভাষাও শোনা যায় সূর্যকান্ত মিশ্রর গলায়। তিনি বলেন “কিছু করুন। কিছু করুন। বলে কিছু হবে না। সবাইকে পথে নেমে আন্দোলন করতে হবে।” পার্টির নিষ্ক্রিয় কর্মীদের উদ্দেশ্য  সিপিএম রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনারা বলছেন কেন্দ্র দুর্নীতিগ্রস্ত,  রাজ্য সরকারও তাই। কিন্তু এই দুই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘাটতি রয়েছে। আপনাদেরও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।’ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত এবং শাসকদলের দাপটে কার্যত তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে বামেরা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি অনেকটা শক্তি পরীক্ষার লড়াই ছিল বামেদের কাছে। দিনের শেষে কর্মীরা যেভাবে সাড়া দিলেন তাতে অখুশি হবেন না বাম নেতৃত্ব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement