সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে বর্ধমানে ধুন্ধুমার। কার্জন গেটের সামনে মিছিলে বাধা পুলিশের। পালটা পুলিশকে আক্রমণ মিছিলকারীদের। বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার বর্ধমানের বড়নীলপুরে সভা ছিল সিপিএমের। এরপর কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়া ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, কৃষক সভার রাজ্য নেতা অমল হালদার-সহ অনেকেই। তবে ব্যারিকেড করে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। জলকামানও কাজে লাগানো হয়। এরপর রাস্তায় ফেলে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের মারধর করে বাম মিছিলকারীরা। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর কার্জন গেটে কাছাকাছি থাকা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়।
কার্জন গেটের সামনে বিশ্ববাংলা লোগো ভাঙচুর করা হয়। কার্জন গেটের উলটো দিকে থাকা উন্নয়ন কর্মসূচির গ্লোসাইন বোর্ড ভেঙে দেয় বাম কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তার সৌন্দর্যায়নে থাকা টব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “গরু চোরদের ধরতে পারে না পুলিশ। মিছিলকারীদের লাঠিপেটা করে।” পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ১টি জলকামান ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.