ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: করোনার আতঙ্কের মধ্যেই ‘মাস্কহীন হাঁচি’! সেই হাঁচিতেই তুলকালাম। হাতাহাতি। পিস্তল বার করে তেড়ে যাওয়া। আর একটু হলেই গণপিটুনিরও উপক্রম হতে যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য কোনওক্রমে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু তার আগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আমডাঙায়।
ঘটনার সূত্রপাত সামান্য একটি হাঁচিকে ঘিরে। বৃহস্পতিবার আমডাঙা বিডিও অফিস ডেপুটেশন দিতে যান বাম নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন উত্তর দমদমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। একটু দূরে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর দেহরক্ষী। তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান এক যুবক। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। হঠাৎই তিনি হাঁচেন। এ নিয়ে ওই দেহরক্ষীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি বেধে যায় ওই যুবকের।
অভিযোগ, এর পর ওই যুবক কয়েকজনকে জুটিয়ে দেহরক্ষীকে মারধর দিতে আসে। যুবকটিকে নিরস্ত করতে ওই দেহরক্ষী তাঁর সার্ভিস পিস্তল বের করেন। স্থানীয়দের বক্তব্য, দেহরক্ষী সাধারণ পোশাকে ছিলেন। হঠাৎই তাঁর হাতে পিস্তল দেখে স্থানীয়রা দুষ্কৃতী বলে মনে করেন। স্থানীয়রা ঘিরে ফেলেন। ওই দেহরক্ষী ভিড়ের দিকে পিস্তল তাক করে এগিয়ে যান। মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে একটু দূরে থাকা বাম নেতারা দ্রুত চলে আসেন। আসে পুলিশও। ফলে বড় অঘটন হয়নি।
তন্ময়বাবু জানান, “ভুল বোঝাবুঝির জেরেই গোলমাল। বিডিও অফিস ডেপুটেশনে কর্মসূচি শেষ করে পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার দেহরক্ষী গাড়ির কাছে ছিলেন। ওঁর কাছ থেকে জানতে পেরেছি, এক যুবক পাশে এসে হেঁচেছিলেন। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। সেকারণে আমার দেহরক্ষী তাঁকে দু-এক কথা বলে। তা নিয়ে বচসা বেধে যায়। ওই যুবক কয়েকজনকে নিয়ে মারতে এলে দেহরক্ষী সার্ভিস পিস্তলটি বের করে এগিয়ে যায়।” তন্ময়বাবুর দাবি, নিজের আত্মরক্ষার জন্যই তাঁর দেহরক্ষী এই কাজ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.