স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত বিরোধীরা৷ কংগ্রেস, বিজেপি সরাসরি বিরোধিতার অবস্থান নিলেও নরম বামেরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিআই৷ বিরোধিতা করছে না সিপিএম৷
মঙ্গলবারই রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের নাম পরিবর্তন করা হবে৷ বুধবার মহাজাতি সদনে বিজেপির প্রদেশ পরিষদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়, আগামী ১৬ আগস্ট তারা নাম বদলের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ পালন করবে৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা গিমিক ছাড়া কিছু নয়৷ নাম দিয়ে কিছু যায় আসে না৷ কাজ করতে হয়৷ উন্নয়ন করতে হয়৷ তাহলেই রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল হবে৷ সরকার যদি ভাবে মানুষ চাইছে, তাহলে গণভোট করুক৷” সরাসরি বিরোধিতার রাস্তায় কংগ্রেসও৷ বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়করা প্রস্তাবের বিপক্ষেই কথা বলবেন, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “এখনই নাম পরিবর্তনের কোনও দরকার ছিল না৷ আগে রাজ্যের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক৷ দেশের মানুষের কাছে রাজ্য সম্পর্কে একটা ভাল বার্তা যাক৷ তারপর নাম পরিবর্তন করা দরকার৷ আর এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হোক৷” বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, “রাজ্যের নাম পরিবর্তন করার আগে সার্বিক মতামত জরুরি৷ ১৯৯৯ সালে প্রস্তাব এসে বিধানসভায় আলোচনা হয়েছিল৷ কিন্তু কার্যকর হয়নি৷ আবারও নাম পরিবর্তন করতে চায় সরকার৷ বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেব৷ মতামত জানাব৷”
সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি বলেন, “ভাল পদক্ষেপ৷ আমরা একমত৷ এই নিয়ে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়৷ বিরোধিতাও হওয়া ঠিক নয়৷ নাম পরিবর্তন বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা প্রক্রিয়া৷” বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “১৯৯৯ সালে জ্যোতিবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ আবার ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের অনুমোদন মেলেনি৷ এবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ আগে সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত ছিল৷ তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগনো উচিত সরকারের৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.