Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিতর্কের মুখে নির্দেশিকা প্রত্যাহার, দার্জিলিংয়ে ছুটি নিতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা

নয়া নির্দেশিকা জারি করল জেলা প্রশাসন।

Leave cancellation Notification withdrawn
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:March 6, 2019 5:38 pm
  • Updated:March 6, 2019 5:38 pm  

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: বিতর্কের মুখে শেষপর্যন্ত পিছু হটল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেলার সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বুধবার নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, বিভাগীয় প্রধানদের অনুমতিক্রমে ছুটি নিতে পারবেন দার্জিলিং জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মীরা।

 [ লোকসভার ভুয়ো প্রার্থীতালিকা নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি]

Advertisement

লোকসভা ভোট দোরগোড়ায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো চলতি সপ্তাহেই ভোটের নির্ঘন্টও ঘোষণা হয়ে যাবে। সোমবার জেলায় কর্মরত সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা জারি করে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। নির্দেশিকায় বলা হয়, আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত কারণ ছাড়া ছুটি নিতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা। সেক্ষেত্রেও আবার মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। দার্জিলিংয়ে জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। তার উপর আদালতের নির্দেশে রবিবার ছাড়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না। তাই সবদিক বিবেচনা করেই সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তে দানা বাঁধে বিতর্ক। ক্ষোভ বাড়ছিল সরকারি কর্মচারীদেরও। বুধবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। নয়া নির্দেশিকায় ছুটি সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি দেওয়া হবে কিনা, তা ঠিক করবেন বিভাগীয় প্রধানরাই।

কিন্তু প্রতিবারই তো নির্বাচনের আগে ভোট পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিতে হয় সরকারি কর্মচারীদের। তাহলে এবার নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে প্রায় পাঁচ মাস কেন ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছিল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন? জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলায় মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১ হাজার ৪১৩টি। জেলায় ভোট পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় সাত থেকে আট হাজার কর্মীর। এবছর লোকসভা ভোটে দার্জিলিং জেলায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে খবর। ফলে আরও কর্মীর প্রয়োজন হবে। এদিকে  আবার প্রতিবার স্রেফ নির্বাচনের দায়িত্ব এড়ানোর জন্যই আগেভাগেই ছুটি নিয়ে রাখেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাই ঝুঁকি না নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন।

[ ‘আমি যেমন কিছু দেব, তেমন কিছু নেব’, কর্মিসভায় বললেন অনুব্রত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement