Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাওড়া আদালত

হাওড়ায় মারধরের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক আইনজীবীদের

ঘটনার প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় রিপোর্ট চেয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

Lawyers across West Bengal goes on strike after Howrah brawl
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 25, 2019 12:49 pm
  • Updated:April 25, 2019 12:49 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিলেন হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। শুধু হাওড়া আদালত নয়, জেলার অন্যান্য আদালত, ব্যাংকশাল কোর্ট ও আলিপুর কোর্টের মতো জায়গাতেও আজ কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা।

বুধবার সকালে গাড়ি পার্কিং নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয় আইনজীবী ও পুরকর্মীদের মধ্যে। ঘটনায় আহত হন ৫ আইনজীবী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া পুরসভা ও আদালত চত্বর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। অভিযোগ, তাঁদের সামনেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর বেলা আড়াইটে নাগাদ পুরকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আইনজীবীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে অশান্তি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বার কাউন্সিলের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, সেই কথায় কর্ণপাত না করে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফের পুরকর্মী ও পুলিশকে আক্রমণ করেন আইনজীবীরা। ঘটনার জল গড়ায় বিকেল পর্যন্ত। বিকেলে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আইনজীবীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। আইনজীবী ও পুলিশকর্মীদের সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্র চেহারা নেয় হাওড়া পুরসভা চত্বর। 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ৭ দিন পর অবশেষে খোঁজ মিলল নদিয়ার নিরুদ্দেশ নোডাল অফিসারের ]

আইনজীবীদের উপর পুলিশের এই লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, মারধরের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি তোলা হয়। এগিয়ে আসেন জেলার অন্য আদালতগুলির আইনজীবীরাও। জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁরা একদিনের প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করবেন। গোটা ঘটনার প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় রিপোর্ট চেয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সোমবার এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর।

এদিকে, আইনজীবীদের এই কর্মবিরতিতে সমস্যায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার সুরাহা না হওয়ার পর্যন্ত কোনও কাজ তাঁরা করবেন না। ফলে পিছিয়ে যেতে চলেছে সমস্ত মামলা। এমনকী এই কর্মবিরতির কারণে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে পিছিয়ে গেল বিমল গুরুং ও রোশন গিরির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি। সব ঠিক থাকলে আগামিকাল মামলার শুনানি হতে পারে।

[ আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি ও গালিগালাজ, বাবুলের বিরুদ্ধে এফআইআর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement