সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: তিস্তার গ্রাসে সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সিংহভাগ অংশ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সড়ক ধসে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে৷ জাতীয় সড়ক ধসে যাওয়ায় সিকিম ও কালিম্পংয়ের সঙ্গে শিলিগুড়ির সরাসরি সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ৷ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পাহাড়ে আটকে বহু পর্যটক৷ তাঁদের ঘুরপথে নামিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ তিস্তার গ্রাসে জাতীয় সড়কের ধার ঘেঁসে মাটি ধসে যাওয়ায় চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গেইলখোলা এলাকায় হঠাৎ ধসে নামে৷ রাস্তার বেশিরভাগ অংশ তিস্তার গ্রাসে চলে যায়৷ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সড়ক যোগোযোগ৷ রাস্তার দু’ধারে এখনও আটকে বহু পর্যটক বোঝাই গাড়ি৷ পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে পূর্ত কর্মীরা৷ ধসের জেরে বুধবার ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয় সেবকের রাস্তা৷ তবে, রাস্তা চালু হলেও বড় গাড়ি চলাচলের পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি৷ আপাতত ছোট গাড়ি সেবক দিয়ে চলানোর ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷
[ফাঁকা বাড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা রংমিস্ত্রির, অভিযুক্তকে গণধোলাই]
মঙ্গলবার ভোরে সেবকের মংপংয়ের কাছে বিরাট ধস নামে৷ মংপংয়ের কাছে ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ৫০ মিটার বসে যায়৷ ফলে, ব্যাহত হয় সড়ক যোগাযোগ৷ ধসের জেরে সেবক দিয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে ডুয়ার্স ও ভুটানের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ৷ পরে, কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি৷ গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন৷ তবে, যে ভাবে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে যে কোনও সময় এই পাহাড়ের কিছু অংশ ভেঙে তিস্তা গর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তখনও বহুদিনের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে মনে করছে অনেকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.