Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধস

ধসে নদীগর্ভে জাতীয় সড়কের একাংশ, বন্ধ কলকাতা-কাকদ্বীপ যোগাযোগ ব্যবস্থা

জেটিঘাটের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে।

Landslide on national highway no 117 at Dimond Hourbor
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 1, 2019 8:54 am
  • Updated:August 1, 2019 9:51 am  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারহার: নদীগর্ভে তলিয়ে গেল জাতীয় সড়কের একাংশ। ডায়মন্ড হারবারের জেটিঘাটের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। এর ফলে বন্ধ কলকাতা-কাকদ্বীপ যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধস সরানোর কাজ চলছে। পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা বাসিন্দাদের।

[ আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মিলল অর্থদপ্তরের ছাড়পত্র, অনশন প্রত্যাহার কর্মপ্রার্থীদের  ]

বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে নদীর পাশে আচমকাই ধস নামে। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামার ফলে বিপর্যস্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। কারণ এই সড়ক দিয়েই কাকদ্বীপের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ চলে। কলকাতার ধর্মতলা থেকে নামখানার উদ্দেশে যে বাসগুলি ছাড়ে সেগুলি এই রুটেই গন্তব্যে পৌঁছয়। ধসের ফলে সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা। এমনকী এই রুটের নিত্যযাত্রীরাও আটকে পড়েছেন।

Advertisement

স্থানীয়দের অনুমান, এলাকায় গঙ্গার সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। সেই কারণে বহু ভারী মেশিন এসেছে। প্রতিদিন ভাঙাগড়ার কাজ চলছে। ওই মেশিনের ফলেই সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে ধস নামে। অনেকেরই অনুমান, মেশিনের কম্পনের ফলেই মাটি সরে যায়। যদিও এনিয়ে পুলিশ বা প্রশাসন এখনও কিছু বলেনি। তবে এলাকায় পৌঁছেছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।  পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তিনি। পূর্ত, সড়ক ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ডায়মন্ড হারবারের এসডিও সুকান্ত সাহা জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে আনা হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবি না’, জল্পনা ওড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক ]

নদীগর্ভে জাতীয় সড়কের একাংশ তলিয়ে যাওয়ায় ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৫, ৬ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, ধসের ফলে নদীর জল ওই ওয়ার্ডগুলিতে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার উপর আজ অমাবস্যা। ফলে ভরা কটাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় জলোচ্ছ্বাস হলে জল আশপাশের এলাকাগুলিতে ঢুকে পড়তে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মেরামতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়রাও হাত লাগিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ মেরামত আজ যদি করা সম্ভব নাও হয়, তাহলেও যাতায়াত শুরু করার মতো ব্যবস্থা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করে দেওয়া সম্ভব। ততক্ষণ পর্যন্ত যানবাহন আমতলা-শিরাখোল রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement