Advertisement
Advertisement

ইটভাটার কাজে অবৈধ মাটি উত্তোলনের জের, ধসের বলি ২ কিশোরী

গত মঙ্গলবারও ইটভাটায় ভূমিধসের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জন শ্রমিকের৷

Landslide in Nadia, 2 dead
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 27, 2018 3:30 pm
  • Updated:December 27, 2018 3:30 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: ইটভাটা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে মাটি ধসে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নদিয়ার পলাশিপাড়ার গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের কারিগর পাড়ায়৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটাতে কাজে লাগানোর জন্য অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হয়৷ তার জেরেই ইটভাটার কাছাকাছি এলাকার মাটির বাঁধন আলগা হয়ে যাচ্ছে৷ নামছে ধস৷ তৈরি হচ্ছে মৃত্যুফাঁদ৷ যদিও ইটভাটা মালিক এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে৷

[ইটভাটায় দেওয়াল ধসে তিন শ্রমিকের মৃত্যু, উত্তেজনা নদিয়ার পানিহাটিতে]

শীতকালীন ছুটি পড়ে গিয়েছে স্কুলে৷ বৃহস্পতিবার সকালে তাই বাড়ির কাছেই খেলা করছিল রোজিয়া এবং রহিমা খাতুন নামে দুই কিশোরী৷ কিন্তু আচমকাই ঘটে অঘটন৷ রোজিয়া এবং রহিমার খেলা করার সময় ভূমিধস নামে৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দুই ছাত্রী৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাটি চাপা পড়ে যায় তারা৷ দুই ছাত্রীর চিৎকারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা৷ তাঁদের উদ্যোগেই রহিমা এবং রোজিয়াকে উদ্ধার করা হয়৷ তবে ততক্ষণে মারা যায় দু’জনেই৷ রোজিয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী৷ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত রহিমা৷ দু’জনেই নেতাজি বিদ্যানিকেতনের পড়ুয়া৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে নদিয়ার পলাশিপাড়ার গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের কারিগর পাড়ায়৷ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারও প্রায়ই একই ঘটনার সাক্ষী ছিল নদিয়ার কালীগঞ্জ৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি ইটভাটায় ধস নামে৷ তাতেই মাটি চাপা পড়ে একে একে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷

Advertisement

[ডুয়ার্সে ফের মাংসে বিষ মিশিয়ে খুন চিতাবাঘ, উদ্বিগ্ন বনদপ্তর]

একের পর এক মাটি ধসের জেরে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁদের দাবি, আগেরবার তিন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছিল এক্কেবারে ইটভাটাতেই৷ ওই মৃত্যুর নেপথ্যে মাটি ধস৷ বৃহস্পতিবার আবারও দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়৷ এবারও কারণ ভূমিধস৷ ধস কবলিত ওই এলাকা থেকে ইটভাটার দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার জন্য অবৈধভাবে মাটি খনন করা হয়৷ তার জেরে যতদিন যাচ্ছে আলগা হচ্ছে মাটির বাঁধন৷ তাই ক্রমশ ইটভাটা সংলগ্ন এলাকাগুলি হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ৷ প্রাণহানি সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর৷ নির্বিকার ইটভাটা মালিকও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement