চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: আবারও গভীর রাতে ভয়াবহ ধস। মাটির তলায় চলে গেল দু’টি ডাম্পার। এবার ঘটনাস্থল আসানসোলের বারাবনি ব্লকের সালানপুরের গৌরান্ডি বেগুনিয়া কোলিয়ারির বারুদ ঘর। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ডাম্পার চালক। তবে তিনি অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। তাই তাঁকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের সালানপুরের গৌরান্ডি বেগুনিয়া কোলিয়ারির বারুদ ঘরের কাছে দু’টি ডাম্পার দাঁড়িয়েছিল। আচমকাই সেখানে ধস নামে। মুহূর্তের মধ্যে মাটির তলায় চলে যায় দু’টি ডাম্পার। শব্দ পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন ডাম্পার দু’টি মাটির তলায় চলে গিয়েছে। তবে ডাম্পারের চালক কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর অল্পবিস্তর চোটাঘাত লেগেছে। বর্তমানে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ডাম্পারগুলিকে উদ্ধারের কাজ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ডাম্পার দু’টির উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
ঠিক সপ্তাহখানেক আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল (Andal) থানার জামবাদ এলাকাতেও ধস নামে। প্রায় এক হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গাজুড়ে ধস নামে। ধসে মাটির তলায় চলে যায় আস্ত বাড়ি। নিখোঁজ হয়ে যান এক মহিলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ১৫টিরও বেশি বাড়ি। প্রায় ৫০-৬০ ফুট গভীরতা ধসের। তাঁরা ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিক্ষোভও দেখান ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধস। এবার মাটির তলায় চলে গিয়েছে দু’টি ডাম্পার। বারবার বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয়রা। ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.