রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবব্রত মণ্ডল: বারুইপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের জনসভা ঘিরে অনিশ্চয়তা৷ সূত্রের খবর, সোমবার যে জমিতে শাহের জনসভা করার কথা ছিল, রবিবার রাতে থানায় গিয়ে সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন সেই জমির মালিক৷ বিষয়টিতে তৃণমূলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব৷
[ আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত তৃণমূল ]
নির্বাচনী প্রচারে বারবারই এরাজ্যে আসছেন মোদি-শাহরা৷ সোমবার এরাজ্যে তিনটি জনসভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহের৷ প্রথমটি ক্যানিংয়ে, দ্বিতীয়টি বারুইপুরে ও তৃতীয়টি রাজারহাটে৷ কিন্তু বারুইপুরে সীতাকুণ্ডুর জনসভাটি ঘিরেই তৈরি হয়েছে তীব্র অনিশ্চয়তা৷ সূত্রের খবর, প্রথমে অনুমতি দিলেও, রবিবার রাতে স্থানীয় থানায় গিয়ে সেই জনসভা ও হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতি প্রত্যাহার করেন ওই জমির মালিক৷ প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি৷ তবে বিষয়টিতে তৃণমূলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব৷ তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ভীত শাসকদল৷ ওই জমির মালিককে ভয় দেখিয়ে অনুমতি প্রত্যাহার করিয়েছে৷ আপাতত জনসভা বাতিল বলেই জানান বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগণা (পশ্চিম) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীত দাস৷ তাঁর বক্তব্য, বারুইপুরে সভাস্থল ও হেলিপ্যাডের অনুমতি মেলেনি। ফলে সেখানে অমিত শাহর সভা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। হেলিপ্যাডের অনুমতি নেই, তাই ওখানে অমিত শাহকে নিয়ে গিয়ে রোড-শো করানো যাবে না। পার্টির তরফে আলোচনা চলছে বিকল্প উপায় বের করার।
[ আরও পড়ুন: মেয়ে ফিরবে, আশায় ভোটের লাইনে জঙ্গলমহলের মাওনেত্রীর মা ]
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, রোববার রাত থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কলকাতায় রয়েছেন৷ এই জটিলতার বিষয়টি তাঁকে জানান হয়েছে৷ এখনও কোনও পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরি হয়নি৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা জানান, এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না৷ জনসভা না হলেও, দল যে কর্মীদের হতাশ করবে না সেই ইঙ্গিতও দেন তিনি৷ প্রয়োজনে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন অমিত শাহ, এমনই জানা গিয়েছে বিজেপির একটা সূত্রে মারফৎ৷ মিটিং-মিছিলকে কেন্দ্রে করে শাসকদলের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দ্বৈরথ নতুন নয়৷ নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই এই ছবি ধরা পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ আগে একাধিকবার শাসকদলের বিরুদ্ধে সভার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে৷ মোদি-শাহরা প্রকাশ্য জনসভায় মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ১৯ মে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে৷ তার আগে এই ঘটনা, রাজ্যে রাজনীতিতে নয়া উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.