সুব্রত বিশ্বাস: এবার লোকাল ট্রেনের গার্ডের কামরায় হামলা। আক্রান্ত হলেন মহিলা গার্ড। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটা নাগাদ ডাউন চন্দনপুর লোকালের এই ঘটনায় নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন গার্ডরা। আক্রান্ত ওই গার্ড কামারকুন্ডু রেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। মহিলা গার্ডের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুললেও, হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, “গার্ডের কামরায় সুরক্ষাকর্মী থাকে না, থাকে ট্রেনে। তারাই লক্ষ্য রাখে।”
রেল সূত্রে খবর, রাতে চন্দনপুর লোকালে ফিরছিলেন মহিলা গার্ড পারমিতা দে। মির্জাপুরের পর ত্রিশ কিলোমিটারের সতর্ক থাকায় ট্রেনের গতি কমে আসে। তখনই গার্ডের ক্যাবে এক যুবক উঠে পড়ে। পারমিতার মোবাইল ও ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পর চিৎকার শুরু করলে পারমিতার গলা চেপে ধরে ওই যুবক। কোনওমতে তিনি চালককে ভয়েজ সিস্টেমে গাড়ি চালিয়ে বাড়ুইপাড়া ঢুকতে বলেন। মহিলা গার্ডকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতী। ট্রেন বাড়ুইপাড়া ঢোকার মুখে দুষ্কৃতী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে যায়। বাড়ুইপাড়া স্টেশনের আরপিএফ এলেও অভিযুক্তকে যুবককে ধরতে পারা যায়নি।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। গার্ডের নিরাপত্তার এই হালে যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে মহিলা গার্ডের নিরাপত্তা নেই, তখন যাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? গার্ডদের অভিযোগ, “পারমিতা দে, প্রথম সার্ভিস কমিশন থেকে হাওড়া গার্ডে আসা মহিলা গার্ড। রাতে ডিউটি করতে কখনও দ্বিধা করেন নি তিনি। তাঁর নিরাপত্তারই এই অবস্থা। বাকি গার্ডরা কীভাবে ডিউটি করবে? তাদের কাছে ওয়াকিটকি থাকলেও আরপিএফের কাছে ওই যন্ত্র না থাকায় তিনি খবর দিতে পারেননি।”
যাত্রীদের অভিযোগ, কর্ড শাখার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। ট্রেনে চোলাই থেকে নানা অবৈধ সামগ্রী পাচার হয়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও দুষ্কৃতী এখনও অধরা। যুবকের পরনে কালো জ্যাকেট ও মাফলার ছিল, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পুলিশ সেই সূত্র ধরেই অনুসন্ধান শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.