Advertisement
Advertisement

চা বাগানের পিছল রাস্তায় হড়কাল গজরাজ, প্রাণে বাঁচলেন শ্রমিক

এভাবেও ফিরে আসা যায়!

Labour gets life from elephants in Malbajar
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:March 15, 2019 9:13 pm
  • Updated:March 15, 2019 9:13 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: আগের বার হাতির হানায় ঘরের দেওয়াল ভেঙেছে। আর এবার সেই ভাঙা অংশ দিয়ে ঘুরে ঢুকল দাঁতাল। ঘুমন্ত অবস্থায় শুঁড়ে করে এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল গজরাজ। কিন্তু নেহাতই বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কথা বলে না, রাখে হরি, মারে কে? এই ঘটনাটি ঠিক তেমনই। শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালবাজারে মেটেলির বরদিঘি চা-বাগানে।

[ জলদাপাড়ায় জঙ্গল সাফারির সময় দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম বারাসতের পড়ুয়ারা]

Advertisement

মালবাজারে বড়দিঘি চা বাগানটি একেবারেই জঙ্গল লাগোয়া। রাতে শ্রমিকদের বসতিতে যেমন ঢুকে পড়ে হাতির দল, তেমনি আবার চিতাবাঘের উপদ্রবে আতঙ্কে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতে আবার তাড়াতাড়ি শুয়েও পড়েন সকলেই। বড়দিঘি চা বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে রাতে মাসি মুন্ডা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি হানা দিয়েছিল হাতি। হাতির আক্রমণে ভেঙে গিয়েছে বাড়ির একদিকের দেওয়াল। সেদিকটা এখনও ফাঁকাই আছে। বুধবার রাতে যখন বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন মাসি ও তাঁর পরিবারের লোকের, তখন ফের বনবসতিতে ঢুকে পড়ে একটি দাঁতাল। যেদিকটা দেওয়াল নেই, সেদিক থেকেই সটান মাসি মুণ্ডার শোওয়ার ঘরে হাজির হয় সে। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে শুঁড়ে তুলে নিয়ে চলে গজরাজ। বিষয়টি টের পেলেও ভয়ে তখন আর চিৎকার করারও শক্তি ছিল না মাসি মুন্ডার। শেষপর্যন্ত হাতিটি যখন চা বাগানের ভিতর দিয়ে দৌড়ে একটি নালা পেরোচ্ছিল, সেসময় নিজেই আর টাল সামলাতে পারেনি গজরাজ৷ আক তখনই  শুঁড় থেকে পিছলে পড়ে যান মাসি মুন্ডা৷

জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর হাতির আর কিছু করেনি। জঙ্গলের দিকে চলে যায় সে। প্রাণে বেঁচে যান বড়দিঘি চা-বাগানের শ্রমিক মাসি মুন্ডা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় চা-বাগানে। হতবাক বনকর্মীরা। মাসি মুন্ডাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁকে পর্যবেক্ষণ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

[ মালদহ থেকে উদ্ধার ২১৩ রাউন্ড কার্তুজ, কলকাতায় অস্ত্র-সহ পুলিশের জালে ২

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement