ফাইল ছবি।
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: তিন রাজ্যে নির্বাচনে জয়লাভ করলেও পাহাড়ের আসন এখন টলমল বিজেপির (BJP)। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখিয়ে পর পর তিনবার পাহাড়ে লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করেছে তারা। কিন্তু এ বছর পুরো চিত্রটাই পালটে গিয়েছে। খোদ বিজেপির বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কার্শিয়াং এর বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ওরফে বি পি বাজগায়েন ঘোষণা করেছেন দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন না। পাশাপাশি বাইরের কাউকে প্রার্থী করা হলে তিনি নিজে বিপক্ষে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ পাহাড়ে এবার বিজেপি বেশ ব্যাকফুটে।
পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখিয়ে তা পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি। অথচ কেন্দ্রে থাকলেও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তারা কখনই সরব হয়নি। এদিকে পাহাড়বাসী তাদের উপর ভরসা করে বসেছিল। কিন্তু তারা আশাহত হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে শীতকালীন অধিবেশনেও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এতে আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পাহাড়ের বাসিন্দারা। এছাড়া গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত দলীয় বিধায়ক তো রয়েছেই। তাই এই আসন নিয়ে বেজায় চিন্তিত দল। যদিও পাহাড়ের নেতারা এবিষয়ে স্পিকটি নট। যা বলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলবেন বলেই তাদের মন্তব্য।
কিন্তু বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, “পাহাড়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি। তারা গোর্খাল্যান্ড দেবে বলে ভোট নিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ করেনি। আসলে বাইরে থেকে আসা প্রার্থীরা পাহাড়ের মানুষের আবেগ বুঝতে পারেনি। তাই এ বছর যদি আবার বাইরের কাউকে প্রার্থী করে বিজেপি তাহলে আমি নিজে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করব।” দলীয় বিধায়কের এহেন মন্তব্যে পাহাড়ে আরও কোণঠাসা দল।
এদিকে হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডও বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় তিনিও বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন। বিজেপি পাহাড়ে হওয়া পরপর তিনটি নির্বাচনেই পর্যুদস্ত। তাই লোকসভা নির্বাচনে তাদের জয় পাওয়া নিয়ে তারাও চিন্তিত। তার মধ্যে দলীয় বিধায়ক বিদ্রোহ করায় আরও বিপাকে পড়েছে বিজেপি। এখন দেখার এই নির্বাচনে তারা কী ফের বাইরে থেকে প্রার্থী আনে না কি স্থানীয় কাউকেই বেছে নেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.