সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী ‘গদ্দার’। তাঁকে আর এলাকায় ঢুকতে দেব না। এই দাবিতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ বেদির সামনে ধরনায় স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে বসে পড়েন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পরে যদিও পুলিশি আবেদনে সাড়া দিয়ে ধরনা প্রত্যাহার করা হয়।
নন্দীগ্রাম (Nandigram) দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা তৃণমূল ও বিজেপির। এদিন সকালে গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ছিলেন অখিল গিরিও। প্রথমে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন কুণাল।
শহিদ স্মরণের মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, তা নিয়ে বিক্ষোভ-হাতাহাতিতে অনুষ্ঠানের সুর কাটে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তৃণমূলের সভা বানচাল করার চক্রান্ত চলছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলে বিজেপির সভামঞ্চ উপড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন কুণাল।
এদিকে, সভা শুরুর আগেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। শহিদ বেদির সামনে ধরনাতেও বসে পড়েন তাঁরা।
স্থানীয়দের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী জেলার লোকজনকে প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁকে কিছুতেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে দেওয়া হবে না। এরপর কুণাল ঘোষ স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই মাল্যদান করতে দেওয়া হবে। তবে শহিদ বেদিতে দেওয়া তৃণমূলের মালা সরালে চলবে না। তার উপরেই মাল্যদান করতে হবে বিজেপিকে।” তৃণমূলের অর্পণ করা মালা সরালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোকুলনগরে পদযাত্রা করার কথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ সভা করারও কথা রয়েছে তাঁর। অশান্তির আশঙ্কায় এলাকার নিরাপত্তায় বিশেষ জোর পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.