Advertisement
Advertisement

Breaking News

Suvendu Adhikari-Kunal Ghosh

‘আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে নাকখত দাও’, ‘গদ্দারমুক্ত’ দিবসে শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের

২ বছর আগে এই দিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু।

Kunal Ghosh demanded apology from Suvendu Adhikari on Asansol Stampede incident | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 18, 2022 5:58 pm
  • Updated:December 18, 2022 6:07 pm  

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বছর দুই আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ঘটে গিয়েছিল তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। দীর্ঘদিন ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম ব্রিগেডে। ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে তাই ‘কালো দিন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে শাসকদল। আর রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর কাঁথিতে ‘গদ্দারমুক্ত দিবস’ পালন করল তৃণমূল। এদিন উত্তর কাঁথির পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরে ব্লক তৃণমূলের তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ”আগে আসানসোলে গিয়ে নাকখত দাও। তারপর অন্য কথা।” আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে বিরোধী দলনেতাকেই দায়ী করছে তৃণমূল।

Advertisement

 

এর আগে ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ‘বেইমানমুক্ত, গদ্দারমুক্ত’ কাঁথি গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর নিশানায় যে শুভেন্দু অধিকারী, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর শুভেন্দু বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর এই দিনেই ‘গদ্দারমুক্ত দিবস’ পালিত হচ্ছে। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ”আগে আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে নাকখত দিয়ে আসো। তারপর তোমার অন্য কথা শোনা হবে। আসানসোলে তোমার জন্য, তোমাদের জন্য যারা মারা গিয়েছে, তাদের জন্য সময় নেই তোমার? অমিত শাহর জুতো চাটার সময় আছে, কলকাতায় মিটিং করার সময় আছে, আর আসানসোলের নিহত-আহত মানুষজনের কাছে যাওয়ার সময় নেই?”

[আরও পড়ুন: মমতার সফরের ৫ দিনের মধ্যেই মেঘালয়ে মোদি, করলেন অসংখ্য প্রকল্পের উদ্বোধন]

তবে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের পাশাপাশি কুণাল ঘোষ এদিন দলের নেতা, কর্মীদেরও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ”আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, কাজ না করলে দলে জায়গা নেই। সে দলীয় পদই হোক বা প্রশাসনিক পদ – কাজ করলেই পদ থাকবে, নাহলে যাবে। সুতরাং, সবাই কাজে মন দিন। কাজ দিয়েই মানুষের ভোট পেতে হবে।” এদিনের সভায় কুণাল ঘোষ ছাড়াও ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

[আরও পড়ুন: ‘আপনিই প্রথম পাশে এসে দাঁড়ালেন’, সাংসদ শতাব্দী রায়কে দেখে আপ্লুত লালন শেখের স্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement