সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে সামান্য কিছু ভোটে জয় পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই কেন্দ্রের বিধানসভার ফলাফল বিচারাধীন। তৃণমূলের তরফে তাঁকে ‘লোডশেডিং বিধায়ক’ বলে কটাক্ষ করা হয়। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) হারানো নিয়ে শুভেন্দু একাধিকবার গর্বপ্রকাশ করেছেন। এবার তারই সমুচিত জবাব পেলেন তিনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পালটা তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন, তমলুক ও কাঁথিতে তাঁরই বাবা-ভাই হেরেছিলেন। ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছেন বলেও বিরোধী দলনেতাকে বিঁধলেন কুণাল ঘোষ।
বুধবার ঝাড়গ্রামের (Jhargram) সরডিহায় অঞ্চল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ”আপনাদের আশীর্বাদে আমি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছি। উনি তো কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী। এখন এই তৃণমূলের চোর সরকারকেও উপড়ে ফেলতে হবে। আপনারা সাহায্য করবেন তো? আপনারা পঞ্চায়েতে ছোট ছোট চোরদের ধরবেন আর আমি বড় ডাকাতদের ধরব।” বৃহস্পতিবার তাঁর এহেন প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির জবাব দিল তৃণমূল (TMC)।
দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পালটা জবাব, ”উনি বলতে ভুলে গিয়েছেন তমলুক ও কাঁথিতেও ওঁর ভাই আর বাবা হেরে গিয়েছিলেন। উনি রেজাল্ট বদলে দিয়েছেন৷ যিনি বলেন, রেজাল্ট বদলে দিতে পারি, তিনি নন্দীগ্রামেও রেজাল্ট বদলে দিয়েছিলেন। এটাই অবচেতন মনে বেরিয়ে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অভিযোগ, একুশের ভোটগণনার সময়ে নাকি পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং করিয়েছিলেন শুভেন্দু। আর তারপরই ভোটের ফল বদলে যায়। দেখা যায়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে ১৯০০ ভোটে এগিয়ে যান। সেই কারণেই তাঁকে ‘লোডশেডিং বিধায়ক’ বলে কটাক্ষ করা হয়। সেকথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেই কারণে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে এখনও।
শুভেন্দুকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, আদালতের রক্ষাকবচ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, ”শুধুমাত্র সুরক্ষা কবচের জন্য, আদালত ও এজেন্সির রক্ষা কবচ নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন৷ তিনি ধরে নিয়েছেন, রাজাশেখর মান্থা যতক্ষণ আছেন, কেউ কিছু বলতে বা করতে পারবে না৷ একদিন সময় আসবে যখন এর বদল হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.