Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

করোনা যোদ্ধাদের সুরক্ষায় পিপিই প্রদান, অভিনব উদ্যোগ কুলতলির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

দুস্থদের হাতে খাদ্যসামগ্রীও তুলে দিয়েছেন তাঁরা।

Kultali's NGO members donates PPE to corona warriors
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 17, 2020 5:06 pm
  • Updated:May 17, 2020 5:06 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রতিনিয়ত রোগী নিয়ে যেতে হয় কলকাতায়। পাশাপাশি জেলার এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সে ছুটতে হয় তাঁদের। কখনও প্রসূতি আবার কখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে। কিন্তু নেই তাঁদের পিপিই কেনার সামর্থ্য। আর এই পিপিই কেনার সামর্থ্য না থাকার কারণে খালি জামা গায়ে বেরিয়ে পড়তে হচ্ছে জীবনদায়ী যান নিয়ে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। হাতে জুটছে না স্যানিটাইজার। মুখে মাস্ক না থাকায় রুমাল বা গামছা মুখে বেঁধে দিন চলে যাচ্ছে। করোনা যুদ্ধের সামনের সারিতে থাকা এইরকম মানুষদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বাসন্তীর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

বাসন্তীর কুলতলির মিলন তীর্থ সোসাইটির সদস্যরা ক্যানিং মহকুমার সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স চালকদের পিপিই দান করলেন। অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের পাশাপাশি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীদের দেওয়া হলো পিপিই। বাসন্তী ব্লক হাসপাতালও বাদ যায়নি। রাতের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদেরও সাড়ে তিন হাজার মাস্ক দেওয়া হয়। কুলতলির মিলন তীর্থ সোসাইটি আয়লার সময় থেকে এমনই নানা কাজ করছে। প্রতিদিন কয়েকশো মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দান করে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।

Advertisement

PPE

[আরও পড়ুন: চৌকাঠ পেরিয়ে অন্যের বাড়ি গেলেই জরিমানা ৫০০টাকা, লকডাউন মানতে ঘোষণা গ্রামবাংলায়]

আবার লকডাউনের মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আর এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বহু মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরাতে শুরু করে দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আমফানের জেরে সুন্দরবন কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেখানে কি করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। এই সংগঠনের কর্ণধার লোকমান মোল্লা বলেন, “আমরা ৫০০ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করব। তাছাড়া প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্স চালককে পিপিই, আশাকর্মীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পুলিশকর্মীদের মাস্ক বিতরণ করেছি। আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।” 

[আরও পড়ুন: এই প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনার থাবা, আক্রান্ত ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ৩ পরিযায়ী শ্রমিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement