Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুলতলি

তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতেই খুন SUCI নেতা, কুলতলি কাণ্ডে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

খুনের ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।

Kultali murder case: Investigation underway

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 5, 2020 5:49 pm
  • Updated:July 5, 2020 6:32 pm  

দেবব্রত মণ্ডল ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংঘর্ষ-ভাঙচুর- খুনের ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে কুলতলি । এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। সোমবারই কুলতলি (Kultali) ব্লকে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। কিন্তু কেন এই হত্যালীলা? মৃত SUCI নেতার পরিবারের কথায়, শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার শাস্তি পেলেন সুধাংশুবাবু।  যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

শুক্রবার রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্নার নেতৃত্বে চলে SUCI কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর। আহত হন তৃণমূল ও SUCI -এর বেশ কয়েকজন। পরের দিন গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্নাকে। শনিবার সকালে SUCI জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানাকে বাড়ি থেকে বের করে মেরে বাড়ির সামনে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি সুধাংশুবাবুর স্ত্রীর। জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মইপীঠ পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১১টি। SUCI নয়টি। কিন্তু পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে যান উপপ্রধান স্বপন হালদার ও পঞ্চায়েত সদস্য শশাঙ্ক সুর। ফলে পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে তৃণমূল। চলতি বছরের নভেম্বরে আড়াই বছরের মেয়াদ শেষ হবে এই পঞ্চায়েতের। তখনই হবে আস্থা ভোট। সেই আস্থা ভোটে ক্ষমতা দখল করতে পারে SUCI । সেই কারণেই SUCI -এর জেলা কমিটির সদস্য তথা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুধাংশু জানার উপর রাগ জমেছিল তৃণমূলের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মরার আগে মরব কেন?’, করোনামুক্তির পর লড়াইয়ের প্রেরণা জোগালেন অশোক ভট্টাচার্য]

এরই মাঝে আমফানের (Amphan) ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠি দেয় মইপীঠ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং অন্যান্য সদস্যরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন SUCI-এর জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানা। সেই কারণে ক্ষোভের পারদ বাড়ে। তার জেরেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ মানতা নারাজ প্রধান নমিতা জানা। তিনি বলেন, “এলাকার যা ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা সকলের সম্মতিতে করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।” এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবারই কুলতলি ব্লকে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। সেখানে থাকবেন বিডিও, স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ব্লকের অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা। কেন ওই জেলায় ত্রাণ নিয়ে এত অভিযোগ, মূলত এই বৈঠকে সেই রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করা হবে বলে অনুমান। 

দেখুন ভিডিও: 

[আরও পড়ুন: বালাই নেই সামাজিক দূরত্বের, হাসপাতালের আউটডোরেই রোগীর ভিড় বাড়াচ্ছে উদ্বেগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement