বাবুল হক, মালদহ: শহরে নৌকো চলবে, এমনটা কস্মিনকালেও ভাবেননি মালদহবাসী। কিন্তু বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার দৌলতে এবার অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল মালদহ শহরের মালঞ্চপল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা। শহরের আরও এক প্রান্ত প্লাবিত হয়েছে মহানন্দা নদীর উপচে পড়া জলে। ফলে এবার মালদহ শহরেই চলছে নৌকো! আর সেই নৌকোয় ইংলিশবাজার শহরের বন্যা কবলিত ওয়ার্ডগুলি পরিদর্শন করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Choudhury)। সঙ্গে ছিলেন ইংলিশবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস।
নৌকোয় শহরের জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখে বর্তমান পুরবোর্ডের প্রশাসকমণ্ডলীর কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। জলমগ্ন এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা শোনেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। হঠাৎ করে মালদা শহরের প্লাবিত বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রাক্তন মন্ত্রীকে ডিঙ্গি নৌকো করে ঘুরতে দেখে হতচকিত হয়ে যান স্থানীয়রা। নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
মালঞ্চপল্লি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জল নিকাশি হচ্ছে না বলেই এই অবস্থা। ফলে কোমর জলেই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেকে আবার নৌকো ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাক্তন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষেরা। এদিন কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “ইংলিশবাজার পুরসভায় যখন আমি চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এরকম পরিস্থিতি ছিল না। সেখানে জল জমা তো দূরের কথা, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই গোটা এলাকা জলে ডুবে যায়। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।” তবে মালদহ শহরের এই প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভার তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি। এক প্রশাসক বলেন, “আমরা কোভিড নিয়ে ভাবছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। শহরে কোথায় নৌকো চলছে, সেটা জানা নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.