ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাসিড নয়, সম্ভবত আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগরের ছাত্রীকে। খুনের পর নয়, হয়তো জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক। যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা।
বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয় ছাত্রীর। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, জীবিত অবস্থায় সম্ভবত ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলেননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ছাত্রীর মৃত্যু কীভাবে হল, তা স্পষ্টভাবে জানা যাবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়িতে পৌঁছয় নির্যাতিতার দেহ। মৃত মেয়েকে দেখে জ্ঞান হারান ছাত্রীর বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.