প্রতীকী ছবি।
সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু? কীভাবে মৃত্যু হল কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর? পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও রহস্যের জট। নিহত ছাত্রীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাহুল বসু। ছেলের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ধৃতের মা চায়না।
তিনি বলেন, “আমি যদি বলি, ছেলে নির্দোষ। তবে এখন আর কেউ সে কথা শুনবে না। তাই সেকথা বলে লাভ নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। যা বিচার করবে, তা-ই হবে। তবে ঘটনার দিন ছেলে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত রানাঘাটেই ছিল। বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। তার পর ছাত্রীর বাড়ি থেকে ফোন আসে। তখনই জানতে পারি ওকে পাওয়া যাচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “ছেলে বড় হয়েছে। কখন, কোথায় যাচ্ছে তা কি আর আমাকে সব বলে। তবে আমি জানি ও রানাঘাটে গিয়েছিল। ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে।” নিহত স্কুলছাত্রী এবং যুবকের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও জানা ধৃতের মায়ের। তিনি জানান, “দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি একদিন তাঁকে বলেছিল ছেলের থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে। ওই টাকা আমাকে ফেরত দেয়নি। ছেলেকে দিয়েছিল কিনা আমি জানি না।”
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপল্লিতে ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। প্রমাণ লোপাট করতে অ্যাসিড কিংবা আগুন জ্বালিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত চলছে। তবে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়েরের ভাবনা নিহত ছাত্রীর মায়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.