ছবি: সঞ্জিত ঘোষ
বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: কলেজ ছাত্রকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল নদিয়ার কোতয়ালি থানার পুলিশ৷ ধৃতেরা হল প্রদীপ বিশ্বাস, অর্পণ বিশ্বাস, নিলয় শিকদার ও অঙ্গদ সরকার৷ তারা প্রত্যেকেই কৃষ্ণনগর বিপ্রদাস পালচৌধুরি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র৷ প্রহৃত ওই ছাত্র কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি৷
নিগৃহীত ছাত্রের অভিযোগ, নবদ্বীপের বাসিন্দা ওই ছাত্র আগস্ট মাসে কৃষ্ণনগর বিপ্রদাস পালচৌধুরি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে ভরতি হয়৷ তার অভিযোগ, কলেজে ভরতি হওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েকজন ছাত্র তাকে উত্যক্ত করত৷ মঙ্গলবার তা চরম আকার নেয়৷ নিগৃহীত ছাত্র জানায়, জামার হাত গুটিয়ে ওইদিন সকালে কলেজে যায় সে৷ কলেজে ঢোকামাত্র তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্র জামার হাতা নামিয়ে দিতে বলে তাকে৷ মানতে রাজি না হওয়ায় কলেজের মধ্যেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ অথচ তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রদের জামার হাতা গোটানো ছিল৷ প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের ‘দাদাগিরি’-র কথা জানায় সে৷ সে কারণে ওই ছাত্রকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে৷ দ্বিতীয়বারও প্রিন্সিপালকে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্র৷ অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ওই ছাত্রদের চিহ্নিত করে৷ কিন্তু কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ‘দাদাগিরি’-র শিকার হতে হয় ওই ছাত্রকে৷ ছুটির পর কলেজের বাইরে ১০-১২ জন তার পথ আটকায়৷ রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷
রাস্তায় ফেলে মারধরের কথা প্রিন্সিপালকে জানায় সে৷ প্রিন্সিপালই খবর দেন কোতয়ালি থানায়৷ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি৷ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় প্রহৃতকে৷ ওই ছাত্রের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ এখনও হাসপাতালে ভরতি রয়েছে সে৷ তৃতীয় বর্ষের পাঁচজনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এখনও অধরা আরও এক অভিযুক্ত৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.