অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার নতুন সমীকরণ! গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে কামতাপুর প্রোগেসিভ পার্টি (কেপিপি)। শুধু তাই নয় তারা তাদের সঙ্গে আদিবাসীদেরও নিতে চায়। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় বৈঠক সেরেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও কেপিপি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং, রোশন গিরি। আবার কেপিপির হয়ে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অমিত রায়, সহ সভাপতি বুধারু রায় সহ অন্যান্যরা। অমিত রায় বলেন, “এবার নির্বাচনে আমরা একসঙ্গেই লড়ব তা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।” কেপিপি-গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই জোটকে বাংলা ভাগের বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল।
প্রথমে দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে হার। পরে জিটিএ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে পাহাড়ে প্রায় কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাই এবার তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে। এই কারণে তারা অনীত ও তৃণমূল বিরোধী যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে প্রস্তুত। তারা এবিষয়ে একপ্রস্থ কথা বলেছে হামরো পার্টির সঙ্গেও। তবে তরাই ও ডুয়ার্সে তাদের ক্ষমতা কম থাকায় এবার তারা কেপিপির শরণাপন্ন। এখানে তারা কেপিপি ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গে জোট করতে চায়।
প্রথমে তারা কেপিপির সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছে। আগামীতে তারা আদিবাসীদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। কেপিপির সঙ্গে তারা কদমতলায় বৈঠক করেন। সেখানে নানান বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের। সিদ্ধান্ত হয় তরাই ও ডুয়ার্সে যারা যেখানে শক্তিশালী তারা সেখানে প্রার্থী দেবে। এপ্রসঙ্গে কেপিপির সহ সভাপতি বুধারু রায় বলেন, “আমরা বৈঠক করেছি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে। আগামী নির্বাচনে আমরা জোট বেঁধে লড়ব তা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এরপর আমরা আদিবাসীদের নিয়ে বৈঠক করব। আমাদের লক্ষ্য রাজবংশী, গোর্খা ও আদিবাসী তিনটি জাতি একসঙ্গে নির্বাচনে লড়ব। তবে এদিন বৈঠকে আমরা পৃথক রাজ্য নিয়েও আলোচনা করেছি। নির্বাচনের আগে আমরা আন্দোলন করছি না।”
অন্যদিকে পায়ের তলায় হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া মোর্চা। তাই তারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। এই বৈঠক নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য পাহাড়ের উন্নয়ন। আর আমরা পাহাড়ে অনীত ও তৃণমূল বিরোধী সব দলের সঙ্গে জোট করতে রাজি আছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.