সুব্রত বিশ্বাস: কোভিড রোগীর বাড়িতে নোটিস দিল কোন্নগর পুরসভা। সেই নোটিসে তাঁর আত্মীয়দের ১৭ দিন গৃহবন্দি থাকতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক হুগলি জেলা সমন্বয় শ্রীরামপুর এসডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
এসডিও সম্রাট চট্টোপাধ্যায় এই নোটিসকে বেআইনি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “একেবারে প্রথম পর্যায়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিস দেওয়া হলেও এখন তা হয় না। ফলে নির্ধারিত বাড়ির থেকে লিখিত অভিযোগ এলে পুরসভার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”
কোন্নগরে ৬ প্রাসাদময়ীদেবী লেনের এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে ডানকুনির কোভিড হাসপাতালে ভরতি হন। এরপরে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বাড়ির বাইরে নোটিস টাঙিয়ে দেয়, ”এই বাড়ি কন্টেনমেন্ট জোন, এই বাড়িতে বাইরের লোক যাবেন না। আগামী ১৭ দিন ওনারা বাড়ি থেকে বেরোবেন না।” নোটিস ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক হুগলি জেলা সমন্বয় বিষয়টি প্রশাসনিক মহলের নজরে আনেন।
এরপর এসডিও পুরসভাকে নোটিস খোলার নির্দেশ দেয়। হুগলি জেলা সমন্বয়ের পক্ষে গৌতম সরকার অভিযোগ করেন, এমনিতেই কোভিড রোগীরা আতঙ্কে থাকেন। তাঁর উপর এলাকাবাসী তাঁদের এড়িয়ে চলে। এভাবে নোটিস দিয়ে তাঁদের কার্যত একঘরে করে দেওয়া এখন বেআইনি। বিপজ্জনকও বটে। হালিশহর পুরসভাও কিছুদিন আগে এমন কাজ করেছিল। পরে তারা ক্ষমাও চেয়ে নেন বলে তিনি জানান।
প্রাসাদময়ীদেবী লেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের অফিসের পাশে। প্রবীরবাবু বলেন, নোটিস দেওয়া এখন যায় না। এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব। কোন্নগর পুরোসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী একই সুরে বলেন, “নোটিস বন্ধের বিষয়ে জানি না। হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিস তো দিচ্ছি। ওঁরা কেন অভিযোগ করলেন বুঝতে পারছি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.