Advertisement
Advertisement

ঘূর্ণাবর্তের জেরে থমকে শীত, গুমোট আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে

আশার কথা একটাই, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে৷

Kolkata weather forecast
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 3, 2016 4:04 pm
  • Updated:December 3, 2016 4:04 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: অগ্রহায়ণের শুরুতে এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা নেমেছিল ১৬ ডিগ্রিতে৷ রাতের দিকে হিমেল হাওয়ায় বেশ কাঁপুনি ধরছিল৷ জিনস-টি শার্টের উপর চাপাতে হচ্ছিল পুলওভার, হালকা জ্যাকেট৷ সকালের দিকে পরতে হচ্ছিল আলমারিতে সযত্নে গুছিয়ে রাখা জহর কোট, সোয়েটার কিংবা হালকা শীতের পোশাক৷ বাঙালি ভেবেছিল এবার আর ফাঁকি নয়৷ জাঁকিয়ে পড়বে শীত৷ কিন্তু জাঁকিয়ে তো দূর অস্ত, উল্টে গুমোট আবহাওয়ায় ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশির প্রকোপ৷ সঙ্গে ঘুসঘুসে কাশি গলা ব্যাথা, জ্বর৷

ডিসেম্বরের শুরুতেও শীতের দেখা না মেলার কারণ সেই ঘূর্ণাবর্ত৷ বঙ্গোপসাগরে একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের জেরে শীত আসছে না বঙ্গে৷ শনিবার ভোরের দিকে তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় নাডা৷ এখন তা পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে৷ এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর হয়ে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে৷ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে শীত৷ এছাড়ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ সেরকমটা হলে শীতের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হবে৷ যদিও দু’এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা একটু নামতে শুরু করবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ শনিবার কলকাতা ও আশপাশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে৷ তাতে বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আগামী দু’এক দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা কমবে৷ কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে ধারণা৷

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী জি কে দাস জানিয়েছেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে৷ তবে তাপমাত্রা খুব দ্রুত নামার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তিনি বলেন, “যখনই বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই আবহাওয়ার উপর তার প্রভাব পড়ে৷ এক্ষেত্রেও তেমনটা হচ্ছে৷ তবে আশার কথা, উত্তরে ইতিমধ্যেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে৷ যার প্রভাবে রাজ্যেও তাপমাত্রা নামবে৷”

যদিও জাঁকিয়ে শীতের জন্য এখনও সপ্তাহ দু’য়েক অপেক্ষা করতে হবে বলে মত এই বিজ্ঞানীর৷ তিনি আরও বলেন, “সাধারণত ১৫ ডিসেম্বরের আগে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ে না৷ উত্তরে তাপমাত্রা নামলে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে শুরু করে রাজ্যে৷ সেই পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি৷” তবে রাতের দিকে ঠান্ডা লাগলেও দিনের বেলায় কিন্তু বেশ গরম লাগছে৷ সকালের পরা সোয়েটার আর গায়ে রাখা যাচ্ছে না৷ ট্রেনে-বাসে তো রীতিমতো ঘাম ঝড়ছে৷ আবার বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা একটু একটু করে পড়তে শুরু করছে৷ রাতের দিকে বাইরে বেরোলে বেশ ঠান্ডা লাগছে৷ আর এই খামখেয়ালি গরম-শীতে দিনরাতের তাপমাত্রার পার্থক্যে ঘরে ঘরে জ্বরসর্দির প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ সুস্থ থাকতে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement