ছবি: প্রতীকী
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এখন তলানিতে। মৃত্যুও নেই বললেই চলে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিন-চার সপ্তাহ অন্তর একটি করে মৃত্যু হচ্ছে। যেমনটা হল বুধবার। নতুন বছরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রাণ গেল রাজ্যের এক করোনা রোগীর। কোভিডে এর আগে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর ও ১২ নভেম্বর। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন।
করোনা পজিটিভ হয়ে ট্যাংরার গিরীশচন্দ্র দাস গত ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি হন। তিপ্পান্ন বছর বয়সি ওই ব্যক্তি প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। একাধিক কো-মর্বিডিটিরও শিকার তিনি। যদিও পরের দিনই তিনি করোনা নেগেটিভ হয়ে যান। কিন্তু সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির বদলে অবনতিই হয় তাঁর। তিনি মারা যান। এটাই চলতি বছরের প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু। কোভিডে এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর ও ১২ নভেম্বর দু’জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনার নমুনা।
দিনকয়েক আগেই চিনের অতি সংক্রামক করোনা ভ্যারিয়েন্ট BF.7 আক্রান্তের হদিশ মেলে রাজ্যে। সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হয়। তবে করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তার কোনও কারণ বলেই মত স্বাস্থ্যদপ্তরের। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালকে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলা হয়েছে। করোনা রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বলা হয়েছে হাসপাতালের যে সমস্ত কর্মীরা কোভিড চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত নন, তাঁদের ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। মূলত বাঙ্গুর হাসপাতাল এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই আপাতত করোনা রোগীদের ভরতি নেওয়া হবে। যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেবে, শুধুমাত্র সেই সব রোগীকেই হাসপাতালে ভরতি করা হবে। বাকিদের বাড়িতেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। হাসপাতালগুলিকে অক্সিজেন থেরাপির বন্দোবস্ত রাখতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, পাইপলাইন ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রত্যেককে পরতে হবে মাস্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.