ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: সন্ত্রাস দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পর এবার ডানকুনি থেকে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়েছে কুখ্যাত জঙ্গ শেখ রেজাউল ওরফে কিরণ। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র প্রধান সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রেজাউল।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেএমবি’র ধুলিয়ান মডিউল ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই রাজ্যে ফের শিকড় জমনোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনটি। এবার ডানকুনি ও আশপাশের অঞ্চল থেকে ‘জেহাদ’ চালানোর জন্য যুবকদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা চালাচ্ছিল রেজাউল। সূত্রের খবর। এই কাজে তাকে বিশেষভাবে নিয়োজিত করেছে জেএমবি (JMB) প্রধান সালাউদ্দিন। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গিয়েছে। রবিবার রাতে ডানকুনির একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাকে আদালতে তোলা হবে। সালাউদ্দিন ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ধৃত জঙ্গির কাছ থেকে জামাতের অনেক গোপন খবরই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
উলেখ্য, গত মে মাসেই মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক জেএমবি-র অন্যতম পাণ্ডা আবদুল করিম ওরফে বড় করিমকে। সেবারেও স্থানীয় থানার সঙ্গে মিলিতভাবে এই অভিযান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)। অভিযোগ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের পিছনে রয়েছে জেএমবি। সংগঠনের একাধিক সদস্য ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেএমবি’র প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিনের অন্যতম সঙ্গী আবদুল করিম মুর্সিদাবাদে ধুলিয়ান মডিউলের প্রধান। পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের খবর পাওয়া যেতে পারে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, পরপর দুই বড় জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ায় রাজ্যে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে জেএমবি। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি নেতারা ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, এমন সম্ভাবনাও রয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে জেএমবি জঙ্গিরা নতুনভাবে কোনও নাশকতার ছক কষছে কি না, সেদিকে নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.