Advertisement
Advertisement

Breaking News

মন্দারমণিতে হোটেলে তাণ্ডব দুই মদ্যপ তরুণীর

জলে নামতে বাধা দিয়ে মাথা ফাটল হোটেল ম্যানেজারের, আক্রান্ত সিভিক পুলিশও৷

Kolkata girls bits hotel manager and civic volunteers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 27, 2016 4:58 pm
  • Updated:September 27, 2016 4:58 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: মদের নেশায় মত্ত দুই সুন্দরী তরুণীর উচ্ছৃঙ্খল যৌবন৷ আর সেই যৌবনের দাপটের শিকার হলেন মন্দারমণির হোটেলের ম্যানেজার থেকে সিভিক পুলিশ এবং মহিলা কনস্টেবল৷

এই ঘটনার জেরে ফের শিরোনামে মন্দারমণি৷ এর আগে এই মন্দারমণির সৈকতেই বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায় মৃত্যু হয়েছিল আইআইটির তিন প্রাক্তনীর৷ আবার সম্প্রতি স্নান করতে নেমে এই মন্দারমণিতেই মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার তিন পর্যটকের৷ আর সোমবার মন্দারমণি দেখল মদের নেশায় মত্ত দুই সুন্দরী তরুণী ও তাদের পুরুষ বন্ধুদের তাণ্ডব৷ মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালাল ছয় যুবক-যুবতী৷ আক্রান্ত পুলিশ৷ ভাঙচুর চলল হোটেলে৷

Advertisement

নিউ আলিপুরের বাসিন্দা দুই মদ্যপ তরুণীর মারে মাথা ফেটে গিয়েছে হোটেল ম্যানেজারের৷ তাণ্ডবে জখম হয়েছেন এক মহিলা কনস্টেবল-সহ দুই সিভিক পুলিশ কর্মী৷ ওই দুই তরুণী ও তার পুরুষসঙ্গীদের মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নামতে বাধা দিয়েছিলেন তাঁরা৷ এটাই ছিল অপরাধ৷ অভিযোগ, ওই পর্যটকরা এতটাই মদ্যপ ছিল যে জলে নামলেই ঘটে যেতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা৷ তাই বাধা দেওয়া হয়েছিল৷

সোমবার বিকেলে এই ঘটনার পর ছয়জনকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কাঁথির আদালতে তোলা হয়৷ কলকাতার অভিজাত এলাকার বাসিন্দা এই দুই তরুণীর আক্রমণের সিসিটিভি-র ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই আরও একবার শহুরে যুবক-যুবতীদের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের ছবি ফাঁস হয়ে গেল৷ স্ফূর্তির নামে মদ খেয়ে বেলেল্লাপনা ও তাণ্ডব চালানোয় মেয়েরাও যে পিছিয়ে নেই সেকথা এদিন আদালতে বলেন সরকারি আইনজীবী৷

কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকা থেকে অজয় কুণ্ডু, মহিদ সিং, অনির্বাণ কুণ্ডু, রাহুল মণ্ডল, বর্ষা কুণ্ডু, সঙ্গীতা শর্মা ও আর একজন তরুণী বেড়াতে এসেছিল মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে৷ রবিবার বিকেলে চারটি বাইকে করে তারা আসে৷ একেবারে সমুদ্রের ধারেই একটি হোটেলে ওঠে৷ বর্ষা কলকাতার আশুতোষ কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী৷ সোমবার বিকেলে বর্ষা ও সঙ্গীতা-সহ তাদের পুরুষ সঙ্গীরা আকণ্ঠ মদ্যপান করে বলে অভিযোগ৷ এরপর হোটেল থেকে তারা বেরিয়ে সমুদ্রে স্নান করতে যাচ্ছিল৷ তখনই সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের বাধা দেন৷

সিভিক ভলাণ্টিয়ারদের প্রথমে মারধর শুরু করে বর্ষা, সঙ্গীতা-সহ অন্যরা৷ এরপর মন্দারমণি থানার অফিসার চলে আসেন ঘটনাস্থলে৷ তখন এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের উপরও তারা চড়াও হয়৷ এই ঘটনা দেখে তাদের হোটেলের ম্যানেজার বিশ্বনাথ মিদ্দে এসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন৷ এরপর হোটেলে ফিরে গিয়ে ওই মদ্যপ দুই তরুণী ম্যানেজারের উপর চড়াও হয়৷ তাদের মারে মাথা ফেটে যায় বিশ্বনাথবাবুর৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এই মারধরের ঘটনাটি ধরা পড়ে হোটেলের সিসিটিভি-তে৷

একসময় পুরষসঙ্গীরাও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে দুই মদ্যপ তরুণীকে৷ কিন্তু কোনওভাবেই থামানো যায়নি বর্ষা এবং সঙ্গীতাকে৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই সুন্দরী দুই তরুণীর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে চার তরুণের৷ তাদের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ চার যুবকের সঙ্গে হোটেলে রাত কাটাতে যাওয়ার বিষয়টি তরুণীদের পরিবারের লোকেরা জানতেন না৷ ছয় তরুণ-তরুণীর মধ্যে সম্পর্কের রসায়নটা কী সেটা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ ছয়জন ছাড়া মারধরের ঘটনায় যুক্ত না থাকা বাকি এক তরুণীকে অবশ্য গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement