সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দাম খুনের ছ’বছর পর অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাকপুর আদালত৷ বুধবার দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাত জনের বক্তব্য শোনার পর আজ, বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতের তরফে সাজা ঘোষণা করা হয়৷ এদিন সাজা ঘোষণা খুশি অসীম দামের পরিবার৷ এদিন সকালে বারাকপুর আদালতের বিচারক তাপস কুমার মিত্র অসীম দামের খুনের ঘটনায় সাত জনের বক্তব্য শোনেন৷ কিন্তু, অভিযুক্তদের তরফে তেমন কোনও উত্তর না পাওয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাত জনের বিরুদ্ধে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাগ্নির ‘শ্লীলতাহানি’র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ২০১২ সালের ৮ মার্চ দোলের দিন উত্তর ২৪ পরগনার বিশরপাড়ায় খুন হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দাম৷ খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ স্থানীয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে৷ পরে, ধৃতদের জেরা করে প্রসেনজিৎ দত্ত, বিশ্বজিৎ ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ, দেবু মুখোপাধ্যায়, কুন্তল চক্রবর্তী, তপন চন্দ্র, বাটু মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ধৃত সাতজনের বিরুদ্ধে মোট সাতটি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ৷ আদালত সূত্রে খবর, খুন, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৪৮, ৩০২, ৩০৭, ৩২৪, ৪২৭, ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ৷ দীর্ঘ ছ’বছর মামলা চলার পর ধৃত সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত৷
[রথযাত্রার প্রস্তুতি ঘিরে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জেলা সভাপতিকে মারধর]
ঠিক কী হয়েছিল ২০১২ সালের ৮ মার্চ? পুলিশ সূত্রে খবর, দোলের দিন রং মাখানোর অজুহাতে ভাগ্নির ‘শ্লীলতাহানি’র প্রতিবাদ জানিয়ে একদল সশস্ত্র যুবকের হাতে খুন হতে হয় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামকে৷ খাস কলকাতা লাগোয়া বিমানবন্দর থানা এলাকার বিশরপাড়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ ‘শ্লীলতাহানি’তে বাধা দেওয়ার ‘অপরাধে’ অসীমবাবুকে হকি স্টিক দিয়ে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে বাড়ির সামনে আধমরা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়৷ পরে, ১১ মার্চ হাসপাতালে মারা যান ৪৮ বছরের ওই পুলিশকর্মী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.