সৈকত মাইতি, তমলুক: প্রথমবার বাড়ির সামনে হামলা। দ্বিতীয়বার দোকান থেকে লুটপাট। পরপর দুবার দুষ্কৃতী হামলার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত তো দূর, অভিযোগ খতিয়েও দেখেনি পুলিশ। আর সেই ‘গাফিলতি’র জেরেই কোলাঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর প্রাণ গেল বলেই দাবি স্বজনহারাদের। ঠিক কী কারণে দুষ্কৃতীদের টার্গেটে চলে আসেন ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া? সেই জট এখনও খোলেনি।
সোমবার রাতে বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে সোনার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর। পাঁশকুড়ার জাতীয় সড়কের উপর কোলাঘাট থানার দেউলবাড়ে নির্জন এলাকায় দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন ব্যবসায়ী। ‘বাইক গ্যাং’য়ের গুলিতে খুন হন। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা সোনার গয়নাগাটি এবং টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে এই প্রথমবার নয়। যুবকের কাকার দাবি, এর আগেও পরপর দুবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি অনুযায়ী, প্রথমবার বাড়ির সামনে লুটপাটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। দ্বিতীয়বার ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লুটপাট করা হয়। গয়নাগাটি নিয়ে পালায় আততায়ীরা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃত ব্যবসায়ীর কাকার দাবি, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে হয়তো প্রাণ যেত না সমীরের।
খুদে দুই সন্তানের বাবা সমীর। চেনা হোক বা অপরিচিত, সকলের বিপদেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পরোপকারী সমীর কেন দুষ্কৃতীদের ‘টার্গেটে’ চলে আসলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.