Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিড-ডে মিল

পড়াশোনার বালাই নেই, ছাউনিঘেরা অঙ্গনওয়াড়ির আকর্ষণ শুধুই মিড-ডে মিল

কতদিনে সমস্যা সমাধান হবে তা কার্যত সকলেরই অজানা।

Know the present situation of a ICDS centre of hingalgunge
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 19, 2019 4:32 pm
  • Updated:September 20, 2019 2:00 pm  

রাজ্যে একের পর এক বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে খুদেদের পেটভরে খাওয়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কী অবস্থা রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির? চালচিত্র দেখতে পৌঁছে গেল সংবাদ প্রতিদিন.ইন

নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: কখনও গাছের ছায়া, কখনও নদীর পাড় কখনও আবার ছাদহীন ঘরের বারান্দা। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও পরিস্থিতি বদলায়নি, ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়েছে পড়ুয়ারা। শুধু মিড-ডে মিলের জন্যই দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পড়ুয়াদের দেখা মেলে স্কুল চত্বরে। এই অবস্থা বসিরহাটের দুর্গাপুরের বটতলার এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বাংলায় এনআরসি’র জুজু, নথি সংশোধনের জন্য আধার কেন্দ্রে লম্বা লাইন বাসিন্দাদের]

বাইলানি কলোনির ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে হাজির হয় সংবাদ প্রতিদিন.ইন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আম গাছের তলায় ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে রান্না। চারিপাশ খোলা। এক ঝলকে দেখে মনে হবে কোনও পিকনিক চলছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম হাজির হতেই পড়ুয়াদের সামনে আনার তোড়জোড় শুরু করেন ওই সেন্টারের কর্মীরা। কিন্তু ডেকেও সর্ব সাকুল্যে দেখা মিলল কয়েকজন পড়ুয়ার। জানা গেল, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খাতায়-কলমে ৪২ জন। কিন্তু পড়ুয়ারা যারা এসেছিলেন মেরে কেটে ১০ জন। তাঁদের নিয়েই ক্লাস শুরু করেন এক শিক্ষিকা। ছেঁড়া কাগজ প্লাস্টিক পেতে বসতে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।

mid-day-meal-3

এ বিষয়ে এক অভিভাবক বলেন, “ঘর না হলে পড়া হবে না। ঘর হলে তবেই পড়া হবে তবেই আসবে বাচ্চারা। রাস্তা, খোলা আকাশের নিচে বাচ্চাদের পাঠানোর সাহস পাই না।  অঙ্গনওয়াড়ি যায় খাবার নিতে।” কিন্তু মিড-ডে মিল কি নিয়মিত পাওয়া যায়? এবিষয়ে এক সহায়িকা জানান, ২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই এই স্কুলে নিয়মিত রান্না হয়। বর্ষাকালেও রান্না বন্ধ থাকে না। যদিও রান্নার সামগ্রী আনার জন্য বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় তাঁদের। এক শিক্ষিকা জানান, ঘর-সহ একাধিক সমস্যার কথা সিডিপিওকে জানানো হলে তিনি জানিয়েছেন গ্রামের কেউ বিনামূল্যে জমি দিলে আইসিডিএস সেন্টার তৈরি হবে। কিন্তু কেউ যদি জমি দিতে রাজি না হন, তবে কী হবে? তা জানা নেই কারও।

[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তৃণমূল, দেহ আগলে বিক্ষোভে গেরুয়া শিবির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement