Advertisement
Advertisement
Shantiniketan

ফের অশান্তি শান্তিনিকেতনে, সোনাঝুরি হাটে ছুরি নিয়ে হামলা, মারধর ব্যবসায়ীকে

গন্ডগোলের জেরে শনিবারের হাট প্রায় শিকেয় ওঠে।

Knife attack at Sonajhuri haat, Shantiniketan sparks chaos| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 28, 2020 5:43 pm
  • Updated:August 22, 2022 3:48 pm  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী সোনাঝুরি হাট ঘিরে তুমুল অশান্তি। ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ। শনিবারের হাটে দোকান বসাকে কেন্দ্র করে কমিটির সঙ্গে ব্যবসায়ীর বচসা। হাট কমিটির এক সদস্যকে ছুরি নিয়ে গলায় আঘাত করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পালটা ব্যবসায়ীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ হাট কমিটির বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনকে আটক করেছে। এর জেরে শনিবারের হাট প্রায় শিকেয় ওঠে।

shantiniketan

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার শান্তিনিকেতন থানার সোনাঝুরি হাটে দোকান বসানো ঘিরে গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, বাকবিতন্ডার মাঝে হাট কমিটির সদস্য আনোয়ার শেখের গলায় ছুরি (Knife) দিয়ে আঘাত করেন ব্যবসায়ী মাধব ধীবর। এই ঘটনায় হাটে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। কমিটির সদস্য এবং হাটের ব্যবসায়ীরা অভিযুক্ত মাধব ধীবরকে ধরে মারধরের করে বলে অভিযোগ ওঠে। হাট কমিটির সদস্য আনোয়ার শেখের বক্তব্য, ”হাটে বসতে গেলে আমাদের জানাতে হয়। কিন্তু তা না করে মাধব ধীবর জায়গা দখল করে হটে বসছিল। ফলে রাস্তায় সমস্যা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং মারধর করে।”

[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির মাঝে বিপত্তি, মৃত্যু ইসিএলের এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জের]

ব্যবসায়ী মাধব ধীবরের পালটা অভিযোগ, ”আমরা এই সোনাঝুরি হাটে গত ১০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় আমরা দোকান বসাতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি ছুরি উদ্ধার করে। দুজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ডোমজুড়ে ধুন্ধুমার]

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি সপ্তাহে সোনাঝুরি হাট একটু একটু করে বাড়ছে। তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঝামেলা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রশাসনের উচিত, হাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং কত ব্যবসায়ী বসতে পারবেন, তা নির্দিষ্টভাবে ঠিক করে দেওয়া। এই হাট শুরুর মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের তৈরি জিনিস বিক্রি করা। কিন্তু এখন কিছু ব্যবসায়ী বাইরে থেকে জিনিসপত্র কিনে এনে এই হাটে বিক্রি করছে। স্থানীয় আদিবাসী, গ্রামের মানুষজন এই হাটে ব্যবসা করতে পারছেন না।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement