ভোট প্রচারে কীর্তি আজাদ।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : ব্রিগেডে ভরা মাঠ থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কীর্তি আজাদকে ((Kirti Azad) প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। তার পর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। ভোটযুদ্ধে জিততে ঘাঁটি গেড়েছেন দুর্গাপুরে (Durgapur)। বিহার (Bihar) থেকে নিয়ে এসেছেন স্ত্রীকেও। আগেই বলেছিলেন, বিহারি হলেও বাঙালির মাছ-ভাত তাঁর বড় পছন্দের। তাই বৃহস্পতিবার সকালে নিজেই সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে গেলেন বাজারে। রথ দেখা-কলা বেচার মতো একসঙ্গে বাজারও করলেন, বাজারে দাঁড়িয়ে সারলেন জনসংযোগও।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল নটার দিকে সাইকেল চালিয়ে কীর্তি আজাদ চলে যান চণ্ডীদাস বাজারের ফলের দোকানে। কেনেন আপেল, লেবু, বেদানা, কলা। সেখান থেকে যান সবজি বাজারে। সাধারণ মানুষের মন ছুঁতে সবজি বাজারেই জনসংযোগ সারলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কীর্তি আজাদ। বাজারের শনি মন্দিরে প্রণাম করে সবজি বাজারে ঢুকে কেনেন, উচ্ছে, আলু, পটল, টমেটো, শাক। সবজি বাজার করেই ঢুঁ দিলেন মাছ বাজারে। সেখানে কেনেন বাঙালির প্রিয় ইলিশ। মাছ বাজারেও সারেন জনসংযোগ। বিরোধীদের ‘অপপ্রচার’ নিয়ে বোঝান মানুষজনকে।
বিরোধীরা এখনও বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। সেই সুযোগ নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমে একাই প্রচার ও জনসংযোগ করছেন আজাদ। জেলা রাজনৈতিক মহলের দাবি, আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণায় একধাপ এগিয়েই রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ঘরের বাজার ও জনসংযোগ একসঙ্গে করে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ারও আবেদন রাখলেন তিনি। আজাদ বলেন, “লম্বা সময়ের জন্য বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে পরিবারের সকলকে দুর্গাপুরেই নিয়ে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছি। ছোট থেকেই ডাংগুলি খেলা আর সাইকেল চালানোর অভ্যাস আছে। তাই শরীরচর্চা করতে সাইকেল চালিয়েই বাজারে এলাম।” বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “১৯৮৩ সালে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছিলাম, তেমনই বিরোধীদের উইকেট ফেলে লোকসভায় ছক্কা মারব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.