ধীমান রায়,কাটোয়া: মাংস খাচ্ছে না, রক্তও পান করছে না। কিন্তু, প্রাণ যাচ্ছে ভেড়াদের। আক্রমণের মুখে পড়েও কয়েকটি প্রাণী অবশ্য বেঁচে গিয়েছে।তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাঁদরা গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, গত এক সপ্তাহে মারা গিয়েছে ৬৮টি ভেড়া।
[হাসনাবাদ থেকে গ্রেপ্তার ভাগাড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি]
হিংস্র তো নয়ই, বরং গৃহপালিত পশুদের মধ্যে সবচেয়ে নিরীহ প্রাণী ভেড়া। প্রাণীটির অর্থকরী গুরুত্বও কম নয়। গ্রামগঞ্জে ভেড়া প্রতিপালন করেই দিন গুজরান করেন অনেকেই। কিন্তু, একের পর এক ভেড়ার মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।কাটোয়ার বাঁদরা গ্রামে মণ্ডলপাড়ায় ৩০ থেকে ৩২টি পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই পরিবারগুলি জীবিকা বলতে পশুপালন ও দুধ বিক্রি। প্রতিটি ঘরেই গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রতিপালন করা হয়। বাঁদরা গ্রামের মণ্ডলপাড়ায় বাসিন্দাদের দাবি, গত এক সপ্তাহ ধরে রাতে গোয়ালঘরে ঢুকে ভেড়াদের মেরে ফেলা হচ্ছে। অজানা ঘাতকের হাতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৬৮টি ভেড়ার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর ভেড়ার মাংস খেয়ে নেওয়া হয়েছে, কিংবা রক্ত পান করা হয়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। স্রেফ প্রাণীটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে। সকালে উঠে তাঁরা দেখছেন, গোয়ালঘরে বা উঠোন পড়ে রয়েছে ভেড়ার নিথর দেহ। আর প্রাণীটির গলার কাছে দাঁত দিয়ে কামড়ের ক্ষত। তবে কয়েকটি ভেড়া আবার বেঁচে গিয়েছে। কেন এমনটা হচ্ছে, তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। গাঁ-গঞ্জে বাড়ি লাগোয়া মাটির চালাঘরে রাতে গৃহপালিত পশুদের বেঁধে রাখেন গ্রামবাসীরা। ঘর, বিশেষ করে জানালা তেমন শক্তপোক্ত হয় না ঠিকই, তবে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলেই দাবি কাটোয়ার বাঁদরা গ্রামের বাসিন্দাদের।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[কেরলের আতঙ্ক বাংলায়, বারুইপুরের লিচুবাগানে খোঁজ নিপা ভাইরাসের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.