সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: মারণ গেম মোমোর আতঙ্ক এবার বাগনানে। স্কুল ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে গেম খেলার অনুরোধ নিয়ে হাজির মোমো। ক্লাসের অবসরে হোয়াটসঅ্যপ চেক করতে গিয়েই মেসেজটি দেখতে পায় ওই ছাত্রী। সঙ্গেসঙ্গেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানস মণ্ডলকে গোটা বিষয়টির কথা জানায়। পরে থানা থেকে আশ্বস্ত করা হলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ওই ছাত্রী। স্বস্তির শ্বাস স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। বুধবার বেলার দিকে চাঞ্চল্যকর ঘটানাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার বাগনান থানার কল্যাণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, কল্যাণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুরমা রায় (নাম পরিবর্তিত)। এদিন বেলার দিকে ক্লাসের অবসরে মোবাইলটি ঘাঁটছিল। আচমকাই হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে গিয়ে দেখে অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ এসেছে। মেসেজে লেখা, ‘হাই আই অ্যাম মোমো, ডু ইউ ওয়ান্ট টু প্লে উইথ মি?’ মেসেজ দেখেই ভয় পেয়ে যায় ওই ছাত্রী। কয়েকদিন ধরে সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার মোমোর নাম সোনার পাশাপাশি মেসেজ নিয়ে সতর্কবার্তাও দেখেছে। বলা বাহুল্য, ঝুঁকি নিয়ে মেসেজে কোনও রিপ্লাই দেয়নি ওই ছাত্রী। মেসেজটি পড়ার সঙ্গেসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে সবটাই জানায়। মেসেজটি দেখার পর আতঙ্কিত মানসবাবু বাগনান থানায় ফোন করেন। তবে পুলিশের তরফে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গোটা বিষয়টির দিকে পুলিশ প্রশাসন নজর দিচ্ছে। মেসেজের পালটা রিপ্লাই না করে সংশ্লিষ্ট নম্বরটিকে ব্লক করে দেওয়া হোক। বাগনান থানার পুলিশ কর্তারা খুব শিগগির ওই স্কুলে গিয়ে একটি সচেতনতা শিবির করবেন। এই মারণ গেম নিয়েই সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হবে। সেখানে ছাত্রছাত্রী ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সমস্ত কিছু বিশদে বোঝানো হবে।
উল্লেখ্য, শুধু কল্যাণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর মোবাইলে মোমোর মেসেজ গিয়েছে তাই নয়। গত দুদিনে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া এই মেসেজ পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে মোবাইলে মারণ গেম মোমো নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হতে বলেছেন সিআইডি-র আধিকারিকরা। ছেলেমেয়েরা মোবাইল হাতে পেয়ে কী করছে তা যেন বাবা-মায়েরা নিয়ম করে একটু নজর রাখুন। সেই সঙ্গে মোমো নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.